Category: সারাদেশ

  • নবাবগঞ্জে আগুনে দগ্ধ শিশু আব্দুর রহমানের মৃত্যু

    নবাবগঞ্জে আগুনে দগ্ধ শিশু আব্দুর রহমানের মৃত্যু

    অবশেষে মৃত্যুকে বরণ করলো নিজ বসত ঘরে আগুন লেগে দগ্ধ দুই বছর বয়সী শিশু আব্দুর রহমান। ঘরে শিশুটি ঘুমিয়ে ছিল।

    সোমবার (১০ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শিশু আব্দুর রহমানের ফুপু হেনা আক্তার প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    আব্দুর রহমান ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের পানালিয়া গ্রামের অটোরিকশা চালকের আকাশের ছেলে।

    প্রতিবেশী আব্দুল জলিল বিমর্ষ অবস্থায় জানান, শিশু আব্দুর রহমানের মৃত্যুতে সারা গ্রামে শোকের ছায়া পড়েছে। গত ৬ দিন এলাকাবাসী মিলে শিশুটির পরিবারের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি। শেষ রক্ষা হলো না।

    তিনি বলেন, শিশুটির বাবা আকাশ অটোরিকশা চালিয়ে কোন রকমে সংসার চালাতো। ছাপড়া ঘরটিতে কোন রকমে বসবাস ছিল পরিবারটির। এমনিতেই সহায় সম্বল হারিয়ে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়েছিল। তার ওপর শিশু আব্দুর রহমানের মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।

    গত বুধবার (৫ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে ঘরের বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল দুই বছর বয়সী শিশু আব্দুর রহমান। মা আর ফুপু বাড়ির উঠানে। বাবা গোসল করছিল। এসময় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে বসত ঘরে আগুন লাগে। মুহুর্তে আগুন ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির উঠানে থাকা মা ও ফুপু আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করে।

    পরে শিশু আব্দুর রহমানকে দগ্ধ অবস্থায় ঘর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দোহার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছানোর আগে এলাকাবাসী মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে ছাপড়া ঘরসহ মালামাল পুড়ে যায়। আগুনে প্রতিবেশী মামুন ও বিমলা বেগমের ঘরও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

  • খেলনার প্রলোভনে শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় কিশোর গ্রেফতার 

    খেলনার প্রলোভনে শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় কিশোর গ্রেফতার 

    ঢাকার নবাবগঞ্জে খেলনা দেয়ার প্রলোভনে প্রতিবেশীর ৫ বছর বয়সী মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় মো. ইয়ামিন (১৬) নামে এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
    সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে গ্রেফতারকৃত কিশোরকে  ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিশোর ইয়ামিন উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের পুরাতন বান্দুরা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে। শিশুটির পরিবার তাদের প্রতিবেশি।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশুটির মা গৃহ পরিচারিকা ও বাবা দিন মজুর। জিবিকার প্রয়োজনে দুজই বাড়ির বাইরে থাকতো। গত ৩ মার্চ বাবা-মা কাজ গেলে ৫ বছর বয়সী শিশু মেয়ে বাড়িতে একা ছিল। দুপুর ২টার দিকে প্রতিবেশী বাড়ির কিশোর ছেলে ইয়ামিন খেলনা দেয়ার প্রলোভনে শিশুকে পাশ্ববর্তী বাড়ির গোসলখানায় নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে। শিশুর চিৎকারে ধর্ষক তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। শিশুর মা বাড়িতে এলে তাকে ঘটনা জানায়।
    এঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হলে ৯ মার্চ রাতে থানায় মামলা রজু হয়।
    নবাবগঞ্জ থানার পরিদর্শক তদন্ত আজগর হোসেন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় গ্রেফতারকৃত কিশোর ইয়ামিনকে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটি ধর্ষণ চেষ্টা ঘটনার বিবরণ দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আদালতের সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
  • সিরাজদিখানে শশুর বাড়ি বেড়াতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন জামাই

    সিরাজদিখানে শশুর বাড়ি বেড়াতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন জামাই

    মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে শশুর বাড়ি বেড়াতে এসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় লাশ হয়ে ফিরলেন জামাই সেন্টু ঘোষ (৪০)। এতে আহত হয়েছে বন্ধু প্রসেনজিৎ ঘোষ (৩২) ।

    শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সিরাজদিখান-ইছাপুরা সড়কের লালবাড়ি নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত সেন্টু ঘোষ ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের কৈলাইল গ্রামের  সুভাষ ঘোষের ছেলে এবং সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের সন্তোষপাড়া গ্রামের রঞ্জিত ঘোষের মেয়ের জামাই। আহত প্রসেনজিতের বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার রুহিতপুর গ্রামে।

    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সেন্টু ঘোষ ও তার বন্ধু প্রসেনজিৎ ঘোষ (৩২) শনিবার দুপুরে সিরাজদিখান থেকে মোটরসাইকেল যোগে ইছাপুরা যাওয়ার পথে লালবাড়ি নামক এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সার সাথে মোটর সাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন সেন্টু ঘোষ ও প্রসেনজিৎ ঘোষ।

    পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেন্টু ঘোষকে মৃত ঘোষণা করে এবং তার বন্ধু প্রসেনজিৎ ঘোষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুলতানা নাসরিন বলেন, দুপুরে দুইজন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রোগী এসেছিল। এর মধ্যে একজন হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু মৃত্যুবরণ করে। আরেকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা রেফার্ড করে।

    সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি ) শাহেদ আল মামুন বলেন, নিহত পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। নিহতের পরিবার হাসপাতাল থেকে লাশ তাদের বাড়িতে নিয়ে গেছে।

  • সিংগাইরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিরপুর থেকে গ্রেফতার

    সিংগাইরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিরপুর থেকে গ্রেফতার

    মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত ৩টার দিকে সিংগাইর থানা ও মিরপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযোনে ঢাকাস্থ মিরপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

    আটককৃত মো.সায়েদুল ইসলাম উপজেলার সিংগাইর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের আজিমপুর মহল্লার মৃত. রফিকুল ইসলাম পরানের পুত্র ।

    উল্লেখ্য, সিংগাইরে ২০১৩ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং পুলিশ ও স্থানীয় গ্রামবাসী সঙ্গে সংঘর্ষে গোবিন্ধল গ্রামের ৪ জন নিহতের ঘটনায় আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সিংগাইর থানাসহ আদালতে ৪টি মামলা হয়।

    এর মধ্যে সায়েদুল ইসলাম ঐ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সূত্রে জানা যায়।

    এদিকে মো. সায়েদুল ইসলাম আটকের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোষ্ট করতে দেখা গেছে।

    সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সিংগাইর সার্কেল) মোহাম্মদ.নাজমুল হাসান বিষয়টি সকালে নিশ্চিত করেছেন।

  • নবাবগঞ্জে ঘরে আগুন লেগে ঘুমন্ত শিশু দগ্ধ 

    নবাবগঞ্জে ঘরে আগুন লেগে ঘুমন্ত শিশু দগ্ধ 

    ঢাকার নবাবগঞ্জে ছাপড়া ঘরে আগুন লেগে ঘুমিয়ে থাকা দুই বছর বয়সী শিশু আব্দুর রহমান দগ্ধ হয়েছে।

    বুধবার (৫ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের পানালিয়া গ্রামে অটোরিকশা চালক আকাশের ছাপড়া ঘরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধ আব্দুর রহমান ঐ গ্রামের অটোরিকশা চালক আকাশের ছেলে।

    দগ্ধ শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে নেয়া হয়েছে। আগুনে পরিবারটির ঘরসহ আসবাবপত্র, মালামাল পুড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী জানান।

    অটোরিকশা চালক আকাশের বড় বোন হেনা আক্তার জানান, বিকাল পৌনে ৩টার দিকে বাড়ির উঠানে বসে গল্প করছিলাম। ঘরের বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল দুই বছর বয়সী শিশু আব্দুর রহমান। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ছাপড়া ঘরে আগুন লাগে। মুহুর্তে  আগুন ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা দেখতে পেয়ে চিৎকার করি।

    শিশু আব্দুর রহমানকে দগ্ধ অবস্থায় ঘর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। পরে দোহার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছানোর আগে এলাকাবাসী মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে ছাপড়া ঘরসহ মালামাল পুড়ে যায়। আগুনে প্রতিবেশী মামুন ও বিমলা বেগমের ঘরও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

    দগ্ধ শিশু আব্দুর রহমানকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে নেয়ার পরামর্শ দেন।

    প্রতিবেশী আব্দুল জলিল জানান, আকাশ অটোরিকশা চালিয়ে কোন রকমে সংসার চালাতো। এই ছাপড়া ঘরটিই পরবারটির সম্বল ছিল। সহায় সম্বল হারিয়ে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেছে। তার ওপর শিশু আব্দুর রহমান দগ্ধ হয়েছে। ওর চিকিৎসা ব্যয় কিভাবে বহন করবে পরিবারটি?

    দোহার ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মো. লিটন হোসেন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

    নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলামকে এবিষয়ে জানানো হয়। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সহায়তায় লিখিত আবেদন করতে বলেছেন।

  • দোহারে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত গ্রেফতার 

    দোহারে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত গ্রেফতার 

    ঢাকার দোহারের বিলাসপুরে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় ৫ ডাকাতকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।  বুধবার (৫ মার্চ) সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
    গ্রেফতারকৃতরা হলো- দোহার উপজেলার কুলছড়ি গ্রামের দাদন চোকদারের ছেলে রাকিব চোকদার (২৩), একই গ্রামের শুকুর বেপারীর ছেলে হালিম বেপারী (৪৫), ঐ গ্রামের ইসমাইল বেপারীর ছেলে লিটন বেপারী (৪৫), একই উপজেলার রাধানগর দক্ষিণ গ্রামের শেখ লাল মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া (৩৪), আলম বাজার এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে নাজির (৩৫)।
    দোহার সার্কেলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত দেড়টার দিকে দোহার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের মো. হানিফ শেখের বাড়িতে অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল পদ্মা নদী দিয়ে ট্রলার যোগে হানা দেয়। ডাকাতরা শটগান, পিস্তল, চাকু, সাবল, রাম দাসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিল্ডিংয়ের নীচ তলার কাঠের তৈরী মেইন দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ও মারধর করে তার মায়ের কক্ষে থাকা খাটের তোষকের নিচে থেকে দুই ভরি ওজনের ৩ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, আড়াই ভরি ওজনের ৩টি স্বর্ণের চেইন, ২ ভরি ওজনের একজোড়া স্বর্ণের রুলি লুট করে নেয়।
    এসময় ভিকটিমের পরিবার ও স্থানীয় জনতা ডাকাত দলকে ধাওয়া করলে ডাকাত দল জনতার দিকে শটগানের গুলি ছোড়ে পালিয়ে যায়। এতে ৭-৮ জন জনতা আহত হয়। এসময় স্থানীয় জনতা ১ জন মাঝিকে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এঘটনায় দোহার থানায় পেনাল কোড ৩৯৫/৩৯৭ ধারায় মামলা রুজু হয়।
    মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান তদন্তপূর্বক মামলার রহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের জন্য নির্দেশ দেন। দোহার সার্কেলের  সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলমের তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে দোহার থানা পুলিশের একটি দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে  ডাকাতির সাথে জড়িত ৫ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করেন। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামিগণ প্রাথমিকভাবে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
    এএসপি আরও জানান, আসামীদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে বুধবার দুপুরে ঢাকার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
  • নবাবগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১০ ডাকাত গ্রেফতার

    নবাবগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১০ ডাকাত গ্রেফতার

    ঢাকার নবাবগঞ্জে গভীররাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের ১০ সদস্য গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এসময় ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ ও ডাকাতিকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়।

    নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের বরাতে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দোহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে থানার ওসি মো. মমিনুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজগর হোসেনসহ থানা পুলিশের একটি দল উপজেলা সদর কায়কোবাদ চত্তরে চেকপোস্ট বসায়।

    এসময় হলুদ নীল রংয়ের ট্রাক সিগন্যাল দিলে ট্রাকটি থেকে কিছু লোক পালানোর চেষ্টা করে। স্থানীয় জনতাসহ পুলিশ সদস্যরা ৬ ব্যক্তিকে আটক করে। পুলিশ ঐ ট্রাক তল্লাশি করে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ভোল্ট কাটার, ১টি চাপাতি, কয়েকটি প্লাস্টিকের পাইপ, লোহার পেরেক, ১টি শাবল, কাঁচি, গরু বাঁধার রশি ও একটি বড় ত্রিপল জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলো- মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সোনাডাংগা ভাগুলী গ্রামের নাসির উদ্দিন ছেলে মোশারফ হোসেন ওরফে মুসা (২৯), একই উপজেলার পূর্ববাস্তা গ্রামের ছবর উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩২), একই উপজেলার চরখালীয়া গ্রামের মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৭), একই উপজেলার খাইলারচর গ্রামের মো. তমেজের ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৮), ফরিদপুরের টেপাখোলা গ্রামের মৃত আবুল কাজীর ছেলে কামরুল কাজী (২৮), ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সদরের চাঁনপুর গ্রামের মৃত নাসির মিয়ার ছেলে রাজীব মিয়া (২৫), একই জেলার নবীনগর উপজেলার বারাইল গ্রামের ইদনের ছেলে মো. মোমিন (৩২)।

    জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা, মানিকগঞ্জ জেলা, ফরিদপুর জেলা, মুন্সিগঞ্জ জেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে থাকে বলে জানায়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে ডাকাতি করা ৩টি খাসি ও ১টি গরু উদ্ধার করা হয়।

    পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্যমতে নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ গ্রামের সুজন ব্যাপারী (৩৫) গ্রেফতারসহ তার ফার্ম থেকে ডাকাতি করা ৩টি ছাগল উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য বাজারমূল্য ৪০ হাজার টাকা। তাদের দেয়া আরও তথ্য মতে সিংগাইরের চক চান্দুর (ঢালী বাড়ি)’র হাকিম ঢালীর ছেলে মো. তোতা ঢালী (৬২) ও তার ছেলে মো. রবিউল ঢালী (২৭) কে গ্রেফতার করাসহ তাদের বাড়ি থেকে ডাকাতি করা ১টি সাদা রংয়ের গরু উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

    দোহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের বরাতে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় পেনাল কোড ৩৯৯/৪০২/৪১২ ধারা মামলা রুজু করা হয়েছে।

    তিনি আরও জানান, আসামী মোশারফ হোসেন ওরফে মুসা দেশের বিভিন্ন থানায় ৮টি ডাকাতি, ৮টি চুরি, ২টি মাদক, ১টি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামী। আসামী হাবিবুর রহমান ৩টি ডাকাতি, ১টি খুন, ১টি চুরি, ১টি মাদক মামলার আসামী।

  • নবাবগঞ্জে ডাকাত চক্রের আরও ৪ সদস্য গ্রেফতার

    নবাবগঞ্জে ডাকাত চক্রের আরও ৪ সদস্য গ্রেফতার

    ঢাকার নবাবগঞ্জের টিকরপুরে সড়কে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের আরও ৪ সদস্য গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এঘটনায় মোট ৭ ডাকাত গ্রেফতার হলো।

    শনিবার দিবাগত রাতে কামরাঙ্গীরচর থানা ও কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন- বরিশালের কাউনিয়া থানার সায়েস্তাবাদ চর অভিনগর গ্রামের আ. জব্বার মিয়ার ছেলে মো. বাদল বিশ্বাস (২৭), একই গ্রামের আ. সামাাদের ছেলে মো. আকাশ (২৫), ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার বাবুর কাইছাল গ্রামের মৃত শুকুর সরদারের ছেলে মো. কাউসার (৩৪), ভোলার দৌলতখান থানার পশ্চিম জয়নগর গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রানা (৩০)।

    গ্রেফতারকৃতরা কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল।

    দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলমের বরাতে জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার টিকরপুর এলাকার প্রধান সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আরও ৮/৯জন ডাকাত দৌড়ে পালিয়ে যায়। নবাবগঞ্জ থানায় এঘটনায় পেনাল কোড ৩৯৯/৪০২ ধারায় মামলা হয়।

    গ্রেফতারকৃত ৩ ডাকাতকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ডাকাতদের তথ্য অনুযায়ী পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ। অভিযানে আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের আরও ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী মো. বাদল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আরও ২টি চুরি ও ডাকাতি মামলা রয়েছে।

    রবিবার (০২ মার্চ) গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ ঢাকার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামী ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

  • নবাবগঞ্জে সড়কে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে ৩ ডাকাত গ্রেফতার

    নবাবগঞ্জে সড়কে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে ৩ ডাকাত গ্রেফতার

    নবাবগঞ্জের টিকরপুরে সড়কে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার আগলা ইউনিয়নের টিকরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
    গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যরা হলো- বরিশালের কোতয়ালী থানার তালতলী সায়েস্তাবাদ বাজার এলাকার আ. জব্বার ওরফে কালু মিয়ার ছেলে সেন্টু বিশ্বাস (৩১), লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার সেবকদাস গ্রামের মৃত আবীদ আলীর ছেলে মো. ওমর ফারুক (২৫) ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার চাষাড়া মাসডাইল গ্রামের মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. রনি (৩২)। গ্রেফতারকৃতরা রাজধানী কামরাঙ্গীচর ও মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন বলে জানা যায়।
    থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গালিমপুর তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. আব্দুর রহমান সহ পুলিশ সদস্যরা যৌথ বাহিনীর সাথে টহলকালীন বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে নবাবগঞ্জ-ঢাকা রোডের পার্শ্বে টিকরপুরগামী ফিডার রোডে ডাকাতির প্রস্তুতির গোপন সংবাদ পাওয়া যায়। তাৎক্ষনিক অভিযানে গেলে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদের ধাওয়া করে সেন্টু বিশ্বাস, মো. ওমর ফারুক ও মো. রনিকে আটক করা হয়। এসময় আরও ৮/৯ জন ডাকাত দৌড়ে অন্ধাকারের মধ্যে পালিয়ে যায়।
    ঘটনাস্থল থেকে একটি মিনি ট্রাক যার নম্বর ঢাকা মেট্রো. ন-২০-৯৫২৬ জব্দ করা হয়। ট্রাক তল্রাশি করে লোহা কাটার যন্ত্র, প্লাষ্টিকের পাইপ, হ্যাক্স ব্লেডসহ ফ্রেম, প্যাচ কাটানো লোহার রড, সেলাই রেঞ্জ, চাকুসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়।
    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দোহার সার্কেলের এএসপি মো. আশরাফুল আলমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এঘটনায় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নবাবগঞ্জ থানায় পেনাল কোড ৩৯৯/৪০২ ধারায় মামলা রজু হয়েছে। দুপুরে তাদের ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
  • সিরাজদিখানে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের পর হত্যা

    সিরাজদিখানে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের পর হত্যা

    মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে নামের শিশু শ্রেণিতে পড়ুয়া ফাতেমা আক্তারকে (৬) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    ঘাতক সাব্বির হত্যার দায় স্বীকার করে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিরাজদীখান থানা পুলিশ রশুনিয়া ইউনিয়নের রশুনিয়া গ্রামের ব্যাঙ্গ দিঘী নামে পুকুরের কচুরিপানার নীচ থেকে ফাতেমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে।

    শিশু ফাতেমা উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব রশুনিয়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী শহিদুল ইসলামের মেয়ে এবং রশুনিয়া মাহমুদিয়া নূরানীয়া মাদরাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।

    এর আগে গেলো মঙ্গলবার উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব রশুনিয়া গ্রামের বাড়ির পাশে ওয়াজ মাহফিলে এসে ফাতেমা আক্তার নামে (৬) বছরের শিশু কন্যা নিখোঁজ হয়। মঙ্গলবার রাতে রশুনিয়া গ্রামের পূর্বপাড়ায় ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী দোকানসহ আইসক্রিম বিক্রি করার জন্য বসে ওই ইউনিয়নের উত্তর তাজপুর গ্রামের নাহিদ খানের ছেলে সাব্বির খান (২৫)।

    সাব্বির খান ফ্রিতে শিশু ফাতেমাকে তিনটি আইসক্রিম খাওয়ান। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা বুধবার দুপুরে সন্দেহজনকভাবে আইসক্রিম বিক্রেতা সাব্বির খানকে আটক করে সিরাজদিখান থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় বুধবার ফাতেমার মা বিলকিস বেগম বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় মামলা করেন। মামলায় ঘাতক সাব্বিরকে রিমান্ডেএনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধর্ষন ও হত্যার কথা স্বীকার করে ঘাতক সাব্বির।

    নিহত ফাতেমার চাচা মাওলানা মো. এরশাদ জানান, ঘাতক সাব্বির একজন মাদকসেবী ,ওর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

    সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, শিশু ফাতেমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে দেওয়া হয় পাশের একটি ডোবায়। ঘাতক সাব্বিরের তথ্য মতে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে উত্তর তাজপুর গ্রামের ব্যাঙ্গ দিঘী নামে পুকুর থেকে ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে ।

    তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার রাতেই ফাতেমাকে হত্যা করে। নিহত শিশুর মা বিলকিস বেগম বুধবার বাদী হয়ে আইসক্রীম বিক্রেতা ঘাতক সাব্বিরকে আসামি করে মামলা করেন। সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড চাইলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে লোমহর্ষক ঘটনার বর্ননা দেয়।