Category: সাহিত্য ও শিক্ষা

  • জন্মবার্ষিকীতে ‘মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদ’ এর কবর জিয়ারত

    জন্মবার্ষিকীতে ‘মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদ’ এর কবর জিয়ারত

    মহাকবি কায়কোবাদের ১৬৮তম জন্মবার্ষিকীতে ঢাকার আজিমপুরে পুরনো কবরস্থানে কবির কবির কবর জিয়রত করা হয়েছে। এসময় কবরস্থান সংলগ্ন মেয়র হানিফ মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

    ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদ’ এর সদস্যবৃন্দ এ আয়োজন করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন মাহমুদ আলী খান টুলু, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, ডাক্তার মহাতাফ জামান হাসু, বোরহান উদ্দিন, মো. গিয়াস উদ্দিন, আওলাদ হোসেন চন্দন, এস এম আজাদ রহমান, ফিরোজ খান প্রিন্স প্রমুখ।

    পরে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে কবির দৌহিত্র আশরাফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কায়কোবাদের আযান কবিতাটি কেন পাঠ্য বই থেকে তুলে দেয়া হলো? এখনো কেন নতুন করে পাঠ্য বইয়ে কায়কোবাদের কবিতা জুড়ে দেয়া হচ্ছে না?

    মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদের সম্মানিত উপদেষ্ঠা মাহমুদ আলী খান টুলু বলেন, কায়কোবাদ যেভাবে উপেক্ষিত সেটা কোন ভাবেই কাম্য নয়। আমরা চাই কায়কোবাদ এর গ্রামের বাড়িতে স্মৃতি চিহ্ন অটুট থাকুক।

    সংগঠনের সদস্য ফিরোজ খান প্রিন্স বলেন, আগামী বছর আমি কায়কোবাদের বই রিপ্রিন্ট করতে চাই। এ ব্যাপারে কবির পরিবারের লোকদের সাহায্য প্রার্থনা করেন।

    এস এম আজাদ রহমানের অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ইতালী থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সংগঠনের সদস্য বিষ্ণুপদ সাহা ও আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে সেলিম ইব্রাহিম।

  • বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী 

    বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী 

    ঢাকার নবাবগঞ্জের বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয় প্রা্ঙ্গনে এ অনুষ্ঠান করা হয়।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসিফ রহমান।
    সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মাকসুদা লায়লা সূখী।
    বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শামীমা আহমেদ, বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি মো. মহিউদ্দিন খান।
  • মহাকবি কায়কোবাদের ১৬৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

    মহাকবি কায়কোবাদের ১৬৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

    মহাকবি কায়কোবাদের ১৬৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কায়কোবাদ ডট কমের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা পর্যন্ত নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠান করা হয়।

    আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিটিভির প্রোগ্রাম প্ল্যানার ও কায়কোবাদ ডট কমের উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মো. মোশাররফ হোসেন জুয়েল।

    প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা তাসলিমা খান।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক লিমিটেডের নবাবগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক এম এ আউয়াল, নিউলাইফ মেডিকেল সার্ভিসেস এর পরিচালক মো. আব্দুল আওয়াল, নাসির ডেন্টাল কেয়ারের কর্ণধার মো. নাসির উদ্দিন, নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মো. কামরুজ্জামান,

    পানালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুমা আহমেদ, রাজপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতমা তুজ জোহরা, জালালপুর উদয়ন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) বিমল চন্দ্র দাস, ভয়েস এশিয়ান ডট নিউজের নিউজ এডিটর সাজেদুল ইসলাম ডিউক।

    নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আল মেরাজের সঞ্চালনায় সভার বক্তারা, কবির স্মৃতিতে উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ে মহাকবির নামে একটি ভবন রাখার আহ্বান জানানো হয়।

    পরে কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বপালন করেন- শিক্ষক সুরাইয়া ইয়াসমিন, আফসানা আহমেদ। পরে অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

    অপর দিকে, আজ মঙ্গলবার সকালে ‘মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদ’ এর পক্ষ থেকে কবির সমাধিস্থল ঢাকার আজিমপুরে পুরনো কবরস্থানে কবর জিয়ারত করা হয়।

  • মহাকবি কায়কোবাদের ১৬৮তম জন্মজয়ন্তী আজ

    মহাকবি কায়কোবাদের ১৬৮তম জন্মজয়ন্তী আজ

    ‘কে ঐ শোনালো মোরে আযানের ধ্বনি, মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিলো কি সুমধুৃর, আকুল হইলো প্রাণ, নাচিলো ধ্বমনি। কি-মধুর আযানের ধ্বণি’। সেই বিখ্যাত ‘আযান” কবিতার রচয়িতা মহাকবি কায়কোবাদ-এর ১৬৮তম জন্মজয়ন্তী আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি।

    মহাশশ্মান প্রণেতা এই কবি ১৮৫৭ খ্রি. ২৫ ফেব্রুয়ারি আজকের এই দিনে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা পূর্বপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

    কবি’র জন্মজয়ন্তীতে আজ মঙ্গলবার সকাল ‘মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদ’ এর পক্ষ থেকে কবির সমাধিস্থল ঢাকার আজিমপুর পুরনো কবরস্থানে কবর জিয়ারত করা হবে। এছাড়া এবছর নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কবির জন্মদিনে আলোচনা সভা ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করেছে ‘কায়কোবাদ ডট কম’ কায়কোবাদকে জানুন সংগঠনটি।

    ‘মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদ’র সদস্য, ইতালী প্রবাসী বিষ্ণুপদ সাহা জানান, কবি’র এলাকায় আমার বাড়ি। তাই ছোটবেলা থেকে তার প্রতি আমার বিশেষ টান। প্রবাসে থাকলেও প্রতি বছরই কবির জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী শ্রদ্ধার সাথে পালনের চেষ্টা করি। সংগঠনের পক্ষ থেকে এবছর কবির স্মৃতির উদ্দেশ্যে গুণিজন সম্মাণনা ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।

    কবি, ১৯০৪ সালে অমর কাব্য গ্রন্থ মহাশশ্মান লিখে মহাকবি উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। এই রকম অসংখ্য কবিতাসহ আধুনিক শুদ্ধ বাংলায় গীতিকাব্য, কাহিনী কাব্য, কাব্য উপন্যাস রচনা করে গেছেন তিনি। তিনি ছিলেন খাঁটি বাঙালি এবং মুসলমান। ১৮৫৭ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৯৪ বৎসর পর্যন্ত তিনি এই পৃথিবীর মাঝে বেঁচে ছিলেন। জীবনের সুদীর্ঘ ৮২ বছরই তিনি বাংলা সাহিত্য নিয়ে চর্চা করেছেন।

    কবি মাত্র ১২ বৎসর বয়সে প্রথম কাব্যগ্রন্থ বিরহ বিলাপ প্রকাশিত হয় ১৮৭০ সালে। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ কুসুম কাননে, প্রকাশিত হয় ১৮৭৩ সালে। এ দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পর পরই তিনি কবি হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেন। ১৮৯৬ সালে প্রকাশিত হয় তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ অশ্রুমালা। এ অশ্রুমালা প্রকাশের পর থেকেই কায়কোবাদ সাহিত্য সমাজে প্রতিষ্ঠিত হন। কবি নবীন চন্দ্র সেন, সম্পাদক বঙ্গবাসী, ঢাকা গেজেট ও কলকাতা গেজেট অশ্রুমালায় ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    এরপর তিনি শিব মন্দির, অমিয় ধারা, মহরম শরীফ বা আত্ম বিসর্জন কাব্য, শশ্মান ভষ্ম তাঁর জীবদ্দশায় এ সকল গ্রন্থ প্রকাশ হয়ে থাকে। কবির মৃত্যুর পর প্রকাশ হয় প্রেমের ফুল, প্রেমের রানী, প্রেম পারিজাত, মন্দাকিনি ধারা ও গাউছ পাকের প্রেমের কুঞ্জ। এমনিভাবে কবির মোট ১৩টি কাব্যগ্রন্থ বাংলা সাহিত্যে উপহার রেখে গেছেন।

    কথিত আছে, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পর কবির বেশ কিছু পান্ডুলিপি তার বংশধরদের মধ্য থেকে হাতছাড়া হয়ে যায়। তা আর ফিরে পাওয়া সম্ভব হয়নি। ফিরে পাওয়া গেলে হয়তো বা নিশ্চয়ই বাংলা সাহিত্যের জন্য বাংলা ভাষাভাষী বাঙালী জাতির জন্য অনেক উপকারে আসত।

    মহাকবি ১৯৫১ সালে ২১ জুলাই বার্ধক্য জনিত কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। পুরাতন আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

  • ধল্লা শিশু কাননে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ

    ধল্লা শিশু কাননে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ

    মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা শিশু কানন (কিন্ডার গার্ডেন) বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়েছে। সেই সাথে মরহুম আজিম উদ্দিন (মেম্বার) স্মৃতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান খানকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

    শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ধল্লা শিশু কানন (কিন্ডার গার্ডেন) মাঠে মরহুম আজিম উদ্দিন (মেম্বার) স্মৃতি সংঘের সহ-সভাপতি মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আলোচনা সভায় মরুহুম আজিম উদ্দিন (মেম্বার) স্মৃতি সংঘের সহ-সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন খান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঢাকা অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মো. এমদাদুল হক বাদল বলেন, বাচ্চাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশুদের মনোবিকাশ ঘটে। তাই বাচ্চাদের শরীর স্বাস্থ্যভালো রাখার জন্য খেলাধূলার বিকল্প নেই। তিনি অভিভাবকদের উদেশ্যে আরো বলেন, ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলার এখনই সময়। নিয়মিত বাচ্চাদের পরিচর্যা করার আহবান ও জানান তিনি।

    এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার বোর্ড সেক্রেটারিয়েট, এডমিনিস্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিংস এন্ড ফাইন্যান্স কর্পোরেশন মো. আবু বক্কর সিদ্দিক খান।

    অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এডিশনাল কমিশনার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঢাকা মো. মাসুম বিল্লাহ সানি, প্রফেসর ইংলিশ & সিনিয়র স্পেসিয়ালিষ্ট (কারিকুলাম) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ও মরহুম আজিম উদ্দিন (মেম্বার) স্মৃতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান খান পারভেজ প্রমুখ।

    এতে উপস্থিত ছিলেন, ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক খান, ধল্লা শিশু কাননের প্রধান শিক্ষক মো.আতাউর রহমানসহ মরহুম আজিম উদ্দিন (মেম্বার) স্মৃতির সংঘের সদস্য ও ধল্লা শিশু কাননের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

    আলোচনা শেষে অতিথিদের ক্রেষ্ট, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

  • সিংগাইরে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

    সিংগাইরে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

    “খুলে দিবে আলোর দুয়ার, সিংগাইর স্টুডেন্টস চেম্বার” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে “স্টুডেন্টস্ চেম্বার অব সিংগাইর আয়োজনে সিংগাইর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সংগঠনের সভাপতি মো. পারভেজ খান (বিদ্যান) এতে সভাপতিত্বকরেন।

    পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান সোহাগ।

    এ সময় ” স্টুডেন্টস্ চেম্বার অব সিংগাইর’র সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুল হক উদয়ের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, জেলা প্রশাসক ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লা।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, স্টুডেন্টস্ চেম্বার অব সিংগাইর’র উপদেষ্টা মোহাম্মদ আক্রাম হোসাইন প্রমুখ।

    আলোচনা শেষে রাত পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। “এসেস”ব্র্যান্ডের কন্ঠশিল্পী এনামুল ও ওয়াজকরণী ফকির সাহেব গানে গানে মঞ্চ মাতিয়ে তুলেন।

  • কর্মশালার মাধ্যমে নতুন নাট্যকর্মী সংগ্রহ করছে লোক নাট্যদল

    কর্মশালার মাধ্যমে নতুন নাট্যকর্মী সংগ্রহ করছে লোক নাট্যদল

    বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ও বহু জনপ্রিয় মঞ্চনাটক উপহার দেয়া তারুণ্যদীপ্ত নাট্য সংগঠন লোক নাট্যদল (বনানী) কর্মশালার মাধ্যমে নিয়মিত মঞ্চনাটক করতে আগ্রহী কিছুসংখ্যক নতুন নাট্যকর্মী সংগ্রহ করবে। যারা মঞ্চনাটকের পাদপ্রদীপের আলোয় নিজেকে তুলে ধরতে একনিষ্ঠভাবে নিয়মিত নাট্যচর্চায় আগ্রহী তাদেরকে লোক নাট্যদল আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
    প্রার্থীদের ইতিপূর্বে নাট্যচর্চার কোন অভিজ্ঞতা না থাকলেও চলবে, তবে যারা গান, নাচ ও বাদ্যযন্ত্রে পারদর্শী তাদের বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। আগ্রহীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হতে হবে। লোক নাট্যদলের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিজস্ব প্রশিক্ষকসহ নাট্যশিল্পী ও দেশের খ্যাতনামা নাট্যব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে প্রশিক্ষক দল কর্মশালা পরিচালনা করবেন ও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেবেন। বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে লোক নাট্যদলের আলাদা স্বকীয়তা ও নিজস্ব প্রশিক্ষণ রীতি রয়েছে। কর্মশালার অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণার্থীদের দিয়ে কর্মশালা-ভিত্তিক নাটক মঞ্চায়ন করা হবে।
    এবারে অতিথি প্রশিক্ষকবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন:
    মামুনুর রশীদ, মোহাম্মদ বারী, মাসুম রেজা, ঝুনা চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবু, আজাদ আবুল কালাম,  ইউসুফ হাসান অর্ক,  ড. নাজনীন হাসান চুমকি, বাকার বকুল ও রমিজ রাজু।
    আগ্রহীদের অবশ্যই ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবারের মধ্যে আবেদন করতে হবে। নিম্নলিখিত ঠিকানাগুলোতে আবেদনপত্র পাওয়া যাচ্ছে:
    ‘থিয়েটার কর্ণার’, বেইলী রোড, ঢাকা।
    লোক নাট্যদল কার্যালয়, ৪৮৪ ডিআইটি রোড, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭।
    এছাড়া মোবাইল ফোন, ই-মেইলে যোগাযোগ করে ও লোক নাট্যদলের ফেসবুক পেইজ ও ওয়েবসাইট থেকেও বিস্তারিত জানা যাবে।
    লোক নাট্যদলের ই-মেইল ঠিকানা: loko.natyadal.1981@gmail.com লোক নাট্যদলের ফেসবুক পেইজ:  https://www.facebook.com/lokonatyadal , ওয়েব পেইজ: www.lokonatyadal.org   মোবাইল নাম্বার: ০১৯১২-৮৩৪৮৩৭, ০১৭১১-০১৫৪৫৫, অনলাইন ফর্ম: https://diphuda.com/lnd-new-member-form/
    উল্লেখ্য, লোক নাট্যদল ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশে ৩২টি বৈচিত্রপূর্ণ নাটক মঞ্চে এনেছে যার মধ্যে অনেক নাটক এতোই দর্শক নন্দিত হয়েছে যে সর্বাধিক মঞ্চায়িত নাটক হিসেবে সমাদৃত হয়েছে, যেমন ’কঞ্জুস’।
    এছাড়া অন্যান্য প্রযোজনা হচ্ছে  – সোনাই মধাব, পদ্মা নদীর মাঝি, তপস্বী ও তরঙ্গিনী, বৈকুন্ঠের খাতা, তুষাগ্নি, ঠিকানা, অন্ধ নগরীর চৌপাট রাজা, এ মিড সামার নাইট্স ড্রিম, সিদ্ধিদাতা, রথযাত্রা, বিধি ও ব্যতিক্রম, মানুষ, টাপুর টুপুর, হেলেন, মধুমালা, মাঝরাতের মানুষেরা, মড়া, বশীকরণ, সুনাগরিকের সন্ধানে, বৈকুণ্ঠের খাতা, তুষাগ্নি পরগাছা,  ঠিকানা,  জাস্টিজ ইনজাস্টিজ, সুন্দর, চন্দ্রালোক ইত্যাদি।
  • সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ে বাঙ্গালি সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ  হবে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

    সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ে বাঙ্গালি সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ  হবে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

    বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য  বিনিময়ের মাধ্যমে বাঙ্গালি সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ হবে। বাঙ্গালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যের সাথে জাপানীজ কৃষ্টি, শিক্ষাদীক্ষা চর্চা ও অনুশীলন করতে পারলে আমাদের সংস্কৃতি আরও মার্জিত হবে। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতির উপাদানসমূহের প্রদর্শনী বাড়ানো গেলে সাংস্কৃতিক সম্পর্কও জোড়দার হয়।

    প্রতিমন্ত্রী আজ শুক্রবার (১৭মে) কেরাণীগঞ্জে হামিদুর রহমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও জাপান দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে ক্যালিগ্রাফি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, এই ক্যালিগ্রাফি কর্মসুচির মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীরতর হবে । সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক অভিব্যক্তি বিনিময় বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া অংশগ্রহণকারীরা এই কর্মসূচির মাধ্যমে জাপানি ক্যালিগ্রাফির সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে পারবে। ক্যালিগ্রাফি করতে একাগ্রতা ও স্থির হতে হয় , যার মাধ্যমে নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ক্যালিগ্রাফি কর্মশালার মাধ্যমে এই গুণটাও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে।

    বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি (Iwama Kiminori) বলেছেন, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার হবে।

    কর্মশালাটির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা জাপানি ক্যালিগ্রাফির রাজ্যে প্রবেশ করার সুযোগ পাবেন। কর্মশালাটি পাঁচটি দলে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি দলে ২০জন অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে এবং প্রতিটি সেশন ৩০মিনিট স্থায়ী হবে।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিখ্যাত জাপানি ক্যালিগ্রাফি শিল্পী মিসেস সাতোকো আজুমা (Sotoka Azuma)  বক্তব্য রাখেন।

    আরো উপস্থিত ছিলেন, মিসেস সীমা হামিদ, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম মামুন, জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন সাকু প্রমূখ।

  • সিরাজদিখানে বিশ্বকবির ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত

    সিরাজদিখানে বিশ্বকবির ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত

    মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে আজ বুধবার ২৫ বৈশাখ (৮মে) উদযাপিত হয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী।

    উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মময় জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) সাব্বির আহম্মেদ, বিক্রমপুর সরকারী কুঞ্জবিহারী কলেজের অধ্যক্ষ ড. রসময় কীর্তনিয়া, বিক্রমপুর সরকারী কুঞ্জবিহারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সামসুল হক হাওলাদার, সরকারী ইছাপুরা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সামসুল হক,

    প্রভাষক এজাজ হোসেন খান, সিরাজদিখান উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুব্রত দাস রনক, মো. আমিন শেখ, সিরাজদিখান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মিজানূর রহমান ভূইয়া, সুবীর চক্রবর্তী, মো. মুক্তার হোসেন, মালখানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর আলম প্রমুখ ।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্রনাথের আমার সোনার বাংলা জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির নিয়মিত শিল্পীরা রবীন্দ্র সঙ্গীত, কবিতা আবৃতি ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

    এছাড়া অতিথি শিল্পী মোহনা, হৃদিতা দে, অদিতি ব্রক্ষ্মন, হাফসা আক্তারের মনোমুগ্ধ সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

  • নবাবগঞ্জে নাফার বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ উৎসব

    নবাবগঞ্জে নাফার বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ উৎসব

    ঢাকার নবাবগঞ্জের প্রথম সাংস্কৃতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নবাবগঞ্জ ললিতকলা একাডেমী (নাফা)’র আয়োজনে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ উৎসব-১৪৩১ উদযাপন করা হয়েছে।

    রবিবার, ১লা বৈশাখ ১৪৩১ (১৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় নবাবগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠ বটতলায় এ অনুষ্ঠান করা হয়।

    ১৯৯৯ সাল থেকে নাফা নবাবগঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে জাকজমকপূর্নভাবে এই উৎসব পালন করে আসছে। নাফার শিল্পীদের পরিবেশনায় নাচ, গান, চারুকলা প্রদর্শনী, আবৃত্তি ও বৈশাখী বিশেষ ফ্যাশন শো ছিল।

    বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বনামধন্য নৃত্যগুরু নাফার নৃত্য শিক্ষক আমিরুল ইসলাম মনি ও জনপ্রিয় নৃত্য শিল্পী রীতি নৃত্য পরিবেশন করেন। প্রতিবারের মতো অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষন ছিল বৈশাখী ফ্যাশন শো যেখানে ফুটে উঠেছে বাংলা সংস্কৃতি।

    অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সভাপতি মাহমুদ খান টুলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন ডাক্তার কে. জেড খান, সাবেক সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন,  তার সহধর্মিনী সোহেলী আনার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুবোধ বিশ্বাস প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নাফার ব্যবস্থাপনা পরিচালক লতিফা রহমান লতা এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নাফার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউর রহমান তোতা।

    অনুষ্ঠান পরিকল্পনা, পরিচালনা, ফ্যাশন শো কোরিওগ্রাফি ও উপস্থাপনায় ছিলেন নাফ ‘র সাধারণ সম্পাদক সায়মা রহমান তুলি।

    অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নাফার সংগীত শিক্ষক মো. সেলিম, যোগাযোগ কর্মী সানজিদা, প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ।

    দর্শক সমাগমে মাঠ ছিল পরিপুর্ন। নাফার বিভিন্ন শাখার প্রায় ১৫০ শিক্ষার্থী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে। উৎসবে শিশুরা ছিল আনন্দিত।

    মাটির সংস্কৃতি ধরে রাখবো আমরা ছড়িয়ে দিবো সারা বিশ্বে এই শ্লোগান ধারন করে নবাবগঞ্জের নাফা বিশ্ব দরবারে দেশীয় সংস্কৃতিকে জনপ্রিয় করে তুলতে বিশেষ ভুমিকা রাখছে। বাংলা সংস্কৃতির বিকাশ ও চর্চা নাফার উদ্দেশ্য।