Category: তথ্যকণিকা

  • সিরাজদিখানে মাটি কাটায় ঝুঁকিতে স্বপন দাসের বাড়ি

    সিরাজদিখানে মাটি কাটায় ঝুঁকিতে স্বপন দাসের বাড়ি

    সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি.

    মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পূর্ব কোলা এলাকায় অবাধে চলছে মাটি কাটার ধুম। গত দুইদিন ধরে মোজাম্মেল নামের ঠিকাদার অবৈধভাবে জোর করে অসহায় স্বপন দাসের বাড়ির মাটি কেটে কালভাটের এপ্রোজ সড়কের জন্য এই মাটি কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

    এখন সেটা হুমকির মুখে। মাটি কেটে নেওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে কোলা ইউনিয়নের ডাঃ মতিলাল দাসের ছেলে স্বপন দাস ও তার পরিবার । মাটি কেটে নেওয়ায় বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার,সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেছে অসহায় স্বপন দাস। তবে ওই অভিযোগে কারো নাম দেওয়া হয়নি।

    সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পূর্ব কোলা এলাকায় খালের ওপর নির্মিত কালভার্ট সেতুর একপাশে পাশে গা ঘেঁষে স্বপন দাসের পৈত্রিক বাড়ির মাটি কাটা হচ্ছে। ভ্যাকু দিয়ে মাটি কাটার ফলে এতে চরম হুমকির মুখে পড়েছে স্বপন দাসের পৈত্রিক বাড়ি, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে এ বাড়িটি।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, কালভাটের এপ্রোজ সড়কের জন্য ঠিকাদার জোড় করে বাড়ির পাশ থেকে মাটি কেটে নিচ্ছেন ঠিকাদার। উপজেলা প্রশাসন কে দিয়ে কাজ বন্ধ করলেও উপজেলা পিআইও এ বিষয়ে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয় না। পিআইও কোন ফোন রিসিভ করেন না। মাটি কাটা বন্ধ না করলে অতিমাত্রায় বৃষ্টি ও বর্ষায় স্বপন দাসের বাড়ি ভেঙ্গে খালে পরে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

    এ বিষয়ে কোলা গ্রামের আজিজ হাওলাদার বলেন, ঠিকাদার জোর করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ কালভাটের জন্য এপ্রোজ সড়কের মাটি ভরাটের কোন টাকা বরাদ্দ হয়নি ? কেন নিরিহ স্বপন দাসের বাড়ির মাটি কেটে এনে কালভাটের এপ্রোচ সড়ক তৈরী হচ্ছে।

    স্বপন দাস বলেন, আমরা অসহায় গরীব মানুষ। জোর করে ঠিকাদার কালভাটের সড়কের জন্য আমার বাড়ির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।। মাটি গভীরতা করে কাটার ফলে আমার ঘর যেকোনো সময় ধসে যেতে পারে। দ্রুত অবৈধ মাটি কাটা বন্ধে আমি প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ঠিকাদার বলেন, আমি অবৈধভাবে কোন মাটি কাটিনি আমার কাটা মাটি স্বপন দাসের বাড়ির পাশে রেখে ছিলাম তা কেটে এনেছি মাত্র।

    সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন অবগত রয়েছে। ভ্যাকু দিয়ে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেওযা হয়েছে।

  • মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আজিজুর রহমান ফকুর ইন্তেকাল

    মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আজিজুর রহমান ফকুর ইন্তেকাল

    নিজস্ব প্রতিবেদক.
    মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান ফকু (৮৮) বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)।
    মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।  মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে সহ আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
    মরহুমের নামাজের জানাযা আগামী ২৭ মার্চ বাদ ফজর গুলশান আজাদ মসজিদ, বাদ জোহর নবাবগঞ্জে জানাজা শেষে নিজ এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হবে।
    আজিজুর রহমান ফকু ১৯৩৭ সালে ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা ইউনিয়নের চর মধুচরিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।
    ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন, মরহুমের জীবদশায় এতদ ঢাকা অঞ্চলের মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। শিক্ষা জীবনে ছিলেন ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি। রাজনৈতিক জীবনে ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। ১৯৯১ সালে নৌকার প্রতীক নিয়ে (ঢাকা-২) নবাবগঞ্জ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
    এছাড়াও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, সাম্প্রদায়িক বিরোধী আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ছয়দফা, ৬৯ গণঅভ্যুথান, সত্তরের নির্বাচন, ৭১ মহান মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহন করেছিলেন বলে ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন।
  • সিরাজদিখানে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন

    সিরাজদিখানে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন

    মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিক্রমপুর কুঞ্জবিহারী সরকারী কলেজ ছাত্রদল।

    আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলা সারে ১১টায় বিক্রমপুর কুঞ্জবিহারী সরকারী কলেজ গেইটে দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হেনস্তা এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

    সেখানে সাধারণ ছাত্রদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি সাফকাত হোসাইন, বিক্রমপুর কুঞ্জবিহারী সরকারী কলেজ ছাত্রদল আহ্বায়ক সদস্য অনন্যা রহমান অর্পা, বিক্রমপুর কুঞ্জবিহারী সরকারী কলেজ ছাত্রদল আহ্বায়ক জসীম হাওলাদার।

    মানববন্ধনে ছাত্রদলের নেতারা বলেন, দিনের পর দিন নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নারী ও বোনরা সম্ভ্রম রক্ষায় সবসময় রাজপথে থাকবে। দেশব্যাপী ধর্ষণের সিরিজ চলছে। ধর্ষণের বিচার দেখছি না।

    স্বাধীন বাংলাদেশে কোন নারী, কোন মা, কোন বোন যেন আর ধর্ষণের শিকার না হয় সেজন্য দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে। আমরা দাবি জানাই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এছাড়া বিচার কার্যক্রম আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। যদি তাদের বিচার করতে ব্যর্থ হন তাহলে আপনারা পদত্যাগ করুন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক ইমন তালুকদার, বিক্রমপুর কুঞ্জবিহারী সরকারী কলেজ ছাত্রদল সদস্য সচিব মো. মোস্তাক আহম্মেদ, সদস্য সোহাগ সরদার, কনিকা আক্তারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

  • নবাবগঞ্জে আগুনে দগ্ধ শিশু আব্দুর রহমানের মৃত্যু

    নবাবগঞ্জে আগুনে দগ্ধ শিশু আব্দুর রহমানের মৃত্যু

    অবশেষে মৃত্যুকে বরণ করলো নিজ বসত ঘরে আগুন লেগে দগ্ধ দুই বছর বয়সী শিশু আব্দুর রহমান। ঘরে শিশুটি ঘুমিয়ে ছিল।

    সোমবার (১০ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শিশু আব্দুর রহমানের ফুপু হেনা আক্তার প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    আব্দুর রহমান ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের পানালিয়া গ্রামের অটোরিকশা চালকের আকাশের ছেলে।

    প্রতিবেশী আব্দুল জলিল বিমর্ষ অবস্থায় জানান, শিশু আব্দুর রহমানের মৃত্যুতে সারা গ্রামে শোকের ছায়া পড়েছে। গত ৬ দিন এলাকাবাসী মিলে শিশুটির পরিবারের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি। শেষ রক্ষা হলো না।

    তিনি বলেন, শিশুটির বাবা আকাশ অটোরিকশা চালিয়ে কোন রকমে সংসার চালাতো। ছাপড়া ঘরটিতে কোন রকমে বসবাস ছিল পরিবারটির। এমনিতেই সহায় সম্বল হারিয়ে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়েছিল। তার ওপর শিশু আব্দুর রহমানের মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।

    গত বুধবার (৫ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে ঘরের বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল দুই বছর বয়সী শিশু আব্দুর রহমান। মা আর ফুপু বাড়ির উঠানে। বাবা গোসল করছিল। এসময় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে বসত ঘরে আগুন লাগে। মুহুর্তে আগুন ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির উঠানে থাকা মা ও ফুপু আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করে।

    পরে শিশু আব্দুর রহমানকে দগ্ধ অবস্থায় ঘর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দোহার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছানোর আগে এলাকাবাসী মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে ছাপড়া ঘরসহ মালামাল পুড়ে যায়। আগুনে প্রতিবেশী মামুন ও বিমলা বেগমের ঘরও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

  • সিংগাইরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিরপুর থেকে গ্রেফতার

    সিংগাইরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিরপুর থেকে গ্রেফতার

    মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত ৩টার দিকে সিংগাইর থানা ও মিরপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযোনে ঢাকাস্থ মিরপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

    আটককৃত মো.সায়েদুল ইসলাম উপজেলার সিংগাইর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের আজিমপুর মহল্লার মৃত. রফিকুল ইসলাম পরানের পুত্র ।

    উল্লেখ্য, সিংগাইরে ২০১৩ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং পুলিশ ও স্থানীয় গ্রামবাসী সঙ্গে সংঘর্ষে গোবিন্ধল গ্রামের ৪ জন নিহতের ঘটনায় আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সিংগাইর থানাসহ আদালতে ৪টি মামলা হয়।

    এর মধ্যে সায়েদুল ইসলাম ঐ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সূত্রে জানা যায়।

    এদিকে মো. সায়েদুল ইসলাম আটকের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোষ্ট করতে দেখা গেছে।

    সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সিংগাইর সার্কেল) মোহাম্মদ.নাজমুল হাসান বিষয়টি সকালে নিশ্চিত করেছেন।

  • নবাবগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১০ ডাকাত গ্রেফতার

    নবাবগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১০ ডাকাত গ্রেফতার

    ঢাকার নবাবগঞ্জে গভীররাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের ১০ সদস্য গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এসময় ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ ও ডাকাতিকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়।

    নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের বরাতে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দোহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে থানার ওসি মো. মমিনুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজগর হোসেনসহ থানা পুলিশের একটি দল উপজেলা সদর কায়কোবাদ চত্তরে চেকপোস্ট বসায়।

    এসময় হলুদ নীল রংয়ের ট্রাক সিগন্যাল দিলে ট্রাকটি থেকে কিছু লোক পালানোর চেষ্টা করে। স্থানীয় জনতাসহ পুলিশ সদস্যরা ৬ ব্যক্তিকে আটক করে। পুলিশ ঐ ট্রাক তল্লাশি করে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ভোল্ট কাটার, ১টি চাপাতি, কয়েকটি প্লাস্টিকের পাইপ, লোহার পেরেক, ১টি শাবল, কাঁচি, গরু বাঁধার রশি ও একটি বড় ত্রিপল জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলো- মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সোনাডাংগা ভাগুলী গ্রামের নাসির উদ্দিন ছেলে মোশারফ হোসেন ওরফে মুসা (২৯), একই উপজেলার পূর্ববাস্তা গ্রামের ছবর উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩২), একই উপজেলার চরখালীয়া গ্রামের মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৭), একই উপজেলার খাইলারচর গ্রামের মো. তমেজের ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৮), ফরিদপুরের টেপাখোলা গ্রামের মৃত আবুল কাজীর ছেলে কামরুল কাজী (২৮), ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সদরের চাঁনপুর গ্রামের মৃত নাসির মিয়ার ছেলে রাজীব মিয়া (২৫), একই জেলার নবীনগর উপজেলার বারাইল গ্রামের ইদনের ছেলে মো. মোমিন (৩২)।

    জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা, মানিকগঞ্জ জেলা, ফরিদপুর জেলা, মুন্সিগঞ্জ জেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে থাকে বলে জানায়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে ডাকাতি করা ৩টি খাসি ও ১টি গরু উদ্ধার করা হয়।

    পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্যমতে নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ গ্রামের সুজন ব্যাপারী (৩৫) গ্রেফতারসহ তার ফার্ম থেকে ডাকাতি করা ৩টি ছাগল উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য বাজারমূল্য ৪০ হাজার টাকা। তাদের দেয়া আরও তথ্য মতে সিংগাইরের চক চান্দুর (ঢালী বাড়ি)’র হাকিম ঢালীর ছেলে মো. তোতা ঢালী (৬২) ও তার ছেলে মো. রবিউল ঢালী (২৭) কে গ্রেফতার করাসহ তাদের বাড়ি থেকে ডাকাতি করা ১টি সাদা রংয়ের গরু উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

    দোহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের বরাতে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় পেনাল কোড ৩৯৯/৪০২/৪১২ ধারা মামলা রুজু করা হয়েছে।

    তিনি আরও জানান, আসামী মোশারফ হোসেন ওরফে মুসা দেশের বিভিন্ন থানায় ৮টি ডাকাতি, ৮টি চুরি, ২টি মাদক, ১টি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামী। আসামী হাবিবুর রহমান ৩টি ডাকাতি, ১টি খুন, ১টি চুরি, ১টি মাদক মামলার আসামী।

  • নবাবগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ৫

    নবাবগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ৫

    ঢাকার নবাবগঞ্জে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবাসহ ৫ জন চিহ্নিত মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    শনিবার রাতে উপজেলার কলাকোপা ও বান্দুরা ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১ কেজি গাঁজা, ৫০ গ্রাম হেরোইন, ২১৫টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের খন্দকারহাটি গ্রামের মকবুল শিকদারের ছেলে নাজিম শিকদার (৫৫), একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে কাজল শেখ (৩২), একই গ্রামের জাকির তালুকদারের ছেলে ফয়সাল তালুকদার (৩০), বান্দুরা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মো. আলাউদ্দিন বেপারীর ছেলে মো. মুন্না বেপারী (১৯), একই গ্রামের নাজিম শিকদারের ছেলে শহিদুল শিকদার (১৮)।

    দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলেমের বরাতে জানা যায়, যৌথ বাহিনীর অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে উপেজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের ফিরোজ বেপারীর পরিত্যক্ত বাড়ী থেকে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য (গাজা, হেরোইন ও ইয়াবা) সহ ৫ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার।

    গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ৩৬ (১) সারণির ১৯ (ক)/১০(ক)/৮(ক)/৪১ ধারায় নবাবগঞ্জ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের রবিবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

  • নবাবগঞ্জে ডাকাত চক্রের আরও ৪ সদস্য গ্রেফতার

    নবাবগঞ্জে ডাকাত চক্রের আরও ৪ সদস্য গ্রেফতার

    ঢাকার নবাবগঞ্জের টিকরপুরে সড়কে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের আরও ৪ সদস্য গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এঘটনায় মোট ৭ ডাকাত গ্রেফতার হলো।

    শনিবার দিবাগত রাতে কামরাঙ্গীরচর থানা ও কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন- বরিশালের কাউনিয়া থানার সায়েস্তাবাদ চর অভিনগর গ্রামের আ. জব্বার মিয়ার ছেলে মো. বাদল বিশ্বাস (২৭), একই গ্রামের আ. সামাাদের ছেলে মো. আকাশ (২৫), ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার বাবুর কাইছাল গ্রামের মৃত শুকুর সরদারের ছেলে মো. কাউসার (৩৪), ভোলার দৌলতখান থানার পশ্চিম জয়নগর গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রানা (৩০)।

    গ্রেফতারকৃতরা কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল।

    দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলমের বরাতে জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার টিকরপুর এলাকার প্রধান সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আরও ৮/৯জন ডাকাত দৌড়ে পালিয়ে যায়। নবাবগঞ্জ থানায় এঘটনায় পেনাল কোড ৩৯৯/৪০২ ধারায় মামলা হয়।

    গ্রেফতারকৃত ৩ ডাকাতকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ডাকাতদের তথ্য অনুযায়ী পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ। অভিযানে আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের আরও ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী মো. বাদল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আরও ২টি চুরি ও ডাকাতি মামলা রয়েছে।

    রবিবার (০২ মার্চ) গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ ঢাকার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামী ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

  • গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সিংগাইর থানা পুলিশের গ্রেপ্তার বাণিজ্য জমজমাট

    গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সিংগাইর থানা পুলিশের গ্রেপ্তার বাণিজ্য জমজমাট

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর মানিকগঞ্জের সিংগাইরে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যায়। তৃনমুল পর্যায়ের নেতা-কর্মী সমর্থকরা এলাকায় অবস্থান করায় থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছেন। থানায় রেকর্ড হওয়া একাধিক মামলাকে পুঁজি করে পুলিশ হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

    বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গণ -অভ্যুত্থান পরবর্তী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সিংগাইর থানায় একটি হত্যা মামলাসহ ৪টি মামলা দায়ের হয়। এতে স্থানীয় সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ২২৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক হাজারের ওপরে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

    গত ৫ আগস্ট বিকেলে ধল্লা পুলিশ ক্যাম্প ভাঙ্চুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় থানায় মামলা হয়। এ ছাড়া বাকি মামলার ঘটনাগুলো আওয়ামী শাসন আমলের হলেও নথিভুক্ত হয় অভ্যুত্থান পরবর্তী। তার মধ্যে ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি গোবিন্দলে সংঘটিত ফোর মার্ডার মামলাটি চাঞ্চল্যকর।

    সূত্র জানায়, জুলাই বিপ্লব থেকে শুরু হওয়া ডেভিল হান্ট অভিযানের আগ পর্যন্ত পুলিশ ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশই এজাহারের বাইরের। মামলায় অজ্ঞাত আসামী হিসেবে আটক করা হয় তাদের। এজাহারে তাদের নাম না থাকলেও আটকের পর শুধু আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থক হওয়ায় পুলিশ তাদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। দেয়া হয় হত্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি।

    চাহিদা মতো টাকা দিলেই ফাঁড়ি ভাঙ্চুর কিংবা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। না দিলে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। কঠোর ভাষা ব্যবহার করে কোর্টে আবেদন করা হয় রিমান্ডের। ভুক্তভোগী একাধিক পরিবারের সঙ্গে কথা বললে বেরিয়ে আসে পুলিশের গ্রেপ্তার ও জমজমাট অর্থ বানিজ্যের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    এর মধ্যে উপজেলার মাধবপুরের সানোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ২ লাখ, চর লক্ষ্মীপুর পোকা সাঈদের ১ লাখ দশ হাজার, আজিমপুরের শাহজাহান মীরের ১ লাখ, নয়াডাঙ্গী আতাউল কন্ট্রাক্টরের ১ লাখ, পূর্ব বান্দাইল ফরমান আলী খানের কাছ থেকে ১ লাখ, জামির্ত্তা রামকান্তপুরের আব্দুস ছামাদের ৭০ হাজার, কিটিংচরের জসিম উদ্দিন পাখির ৬০ হাজার, কাংশার ইসমাইলের কাছ থেকে ৫০ হাজার, আজিমপুর গোলাম রসুলের ৫০ হাজার,

    গোলাইডাঙ্গা-বাস্তার তারেকের ৫০ হাজার, জামশার সিদ্দিক মোল্লার ৫০ হাজার, তালেবপুর হুমায়ুন মেম্বারের কাছ থেকে ৫০ হাজার, চর লক্ষীপুর জিন্নতের ২৫ হাজার, আজিমপুরের রশিদ মোল্লা থেকে ৩৪ হাজার ও আলমের কাছ থেকে ৩২ হাজার, চর আজিমপুর সামছুলের ৩০ হাজার, জয়মন্টপ মঞ্জুরুল ইসলামের ৩০ হাজার, ইরতা শাহীন বক্সের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ছাড়াও সোহেল, নজরুল ভেন্ডার, আমজাদ হোসেন, রিয়াদ মেম্বারসহ প্রায় সকলের কাছ থেকেই টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।

    পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আসামীরা জেল-হাজতে থাকাবস্থায় তাদের পরিবারের কাছ থেকে পুনরায় টাকা দাবী করার অভিযোগ ওঠেছে। চাহিদা মতো টাকা না পেলে হাজতি আসামীদের শ্যোন আরেস্ট দেখানোর তথ্য মিলেছে।

    জামির্ত্তা ইউনিয়নের আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি খালিদ মাহমুদ খোকনের পরিবার অভিযোগ করে বলেন,খোকনকে গ্রেপ্তারের পর ৫ লাখ টাকা দাবী করা হয়। ওই টাকা না দেয়ায় তাকে গোবিন্দলের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়। বর্তমানে সে জামিনে এসে পুলিশের ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছে বলে জানা গেছে । অপরদিকে, মামলার এজাহারভুক্ত নেতাকর্মী থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

    সিংগাইর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো. মাসুদুর রহমান জানান, এটা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। এ রকম কোন তথ্য প্রমান কেউ দিতে পারলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিবে সেটাই মেনে নিবো।

    সিংগাইর থানা পুলিশের এ গ্রেপ্তার বাণিজ্যের মূলহোতা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী ১২ সেপ্টেম্বর তিনি এ থানায় যোগদান করেন। আর ওসির সেকেন্ড ইন-কমান্ড হিসেবে কাজ করেন থানার দুই এসআই আবদুল মুত্তালিব ও মাসুদুর রহমান। ইতিমধ্যেই এদের থানা থেকে বদলির আদেশ হয়েছে। মুত্তালিব নতুন কর্মস্থলে চলে গেলেও মাসুদ এখনো থানা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর আর্থিক ক্ষতিসহ হয়রানির দাগ কাটছে না বলেও জানান তারা।

    সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর টাকা গ্রহণ ও হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোনো বিষয় কাম্য না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার ( সিংগাইর সার্কেল) নাজমুল হাসান বলেন, অভিযোগ গুরুতর, তবে কোনো লিখিত পাইনি। তারপরেও বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • মহাকবি কায়কোবাদের ১৬৮তম জন্মজয়ন্তী আজ

    মহাকবি কায়কোবাদের ১৬৮তম জন্মজয়ন্তী আজ

    ‘কে ঐ শোনালো মোরে আযানের ধ্বনি, মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিলো কি সুমধুৃর, আকুল হইলো প্রাণ, নাচিলো ধ্বমনি। কি-মধুর আযানের ধ্বণি’। সেই বিখ্যাত ‘আযান” কবিতার রচয়িতা মহাকবি কায়কোবাদ-এর ১৬৮তম জন্মজয়ন্তী আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি।

    মহাশশ্মান প্রণেতা এই কবি ১৮৫৭ খ্রি. ২৫ ফেব্রুয়ারি আজকের এই দিনে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা পূর্বপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

    কবি’র জন্মজয়ন্তীতে আজ মঙ্গলবার সকাল ‘মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদ’ এর পক্ষ থেকে কবির সমাধিস্থল ঢাকার আজিমপুর পুরনো কবরস্থানে কবর জিয়ারত করা হবে। এছাড়া এবছর নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কবির জন্মদিনে আলোচনা সভা ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করেছে ‘কায়কোবাদ ডট কম’ কায়কোবাদকে জানুন সংগঠনটি।

    ‘মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদ’র সদস্য, ইতালী প্রবাসী বিষ্ণুপদ সাহা জানান, কবি’র এলাকায় আমার বাড়ি। তাই ছোটবেলা থেকে তার প্রতি আমার বিশেষ টান। প্রবাসে থাকলেও প্রতি বছরই কবির জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী শ্রদ্ধার সাথে পালনের চেষ্টা করি। সংগঠনের পক্ষ থেকে এবছর কবির স্মৃতির উদ্দেশ্যে গুণিজন সম্মাণনা ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।

    কবি, ১৯০৪ সালে অমর কাব্য গ্রন্থ মহাশশ্মান লিখে মহাকবি উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। এই রকম অসংখ্য কবিতাসহ আধুনিক শুদ্ধ বাংলায় গীতিকাব্য, কাহিনী কাব্য, কাব্য উপন্যাস রচনা করে গেছেন তিনি। তিনি ছিলেন খাঁটি বাঙালি এবং মুসলমান। ১৮৫৭ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৯৪ বৎসর পর্যন্ত তিনি এই পৃথিবীর মাঝে বেঁচে ছিলেন। জীবনের সুদীর্ঘ ৮২ বছরই তিনি বাংলা সাহিত্য নিয়ে চর্চা করেছেন।

    কবি মাত্র ১২ বৎসর বয়সে প্রথম কাব্যগ্রন্থ বিরহ বিলাপ প্রকাশিত হয় ১৮৭০ সালে। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ কুসুম কাননে, প্রকাশিত হয় ১৮৭৩ সালে। এ দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পর পরই তিনি কবি হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেন। ১৮৯৬ সালে প্রকাশিত হয় তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ অশ্রুমালা। এ অশ্রুমালা প্রকাশের পর থেকেই কায়কোবাদ সাহিত্য সমাজে প্রতিষ্ঠিত হন। কবি নবীন চন্দ্র সেন, সম্পাদক বঙ্গবাসী, ঢাকা গেজেট ও কলকাতা গেজেট অশ্রুমালায় ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    এরপর তিনি শিব মন্দির, অমিয় ধারা, মহরম শরীফ বা আত্ম বিসর্জন কাব্য, শশ্মান ভষ্ম তাঁর জীবদ্দশায় এ সকল গ্রন্থ প্রকাশ হয়ে থাকে। কবির মৃত্যুর পর প্রকাশ হয় প্রেমের ফুল, প্রেমের রানী, প্রেম পারিজাত, মন্দাকিনি ধারা ও গাউছ পাকের প্রেমের কুঞ্জ। এমনিভাবে কবির মোট ১৩টি কাব্যগ্রন্থ বাংলা সাহিত্যে উপহার রেখে গেছেন।

    কথিত আছে, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পর কবির বেশ কিছু পান্ডুলিপি তার বংশধরদের মধ্য থেকে হাতছাড়া হয়ে যায়। তা আর ফিরে পাওয়া সম্ভব হয়নি। ফিরে পাওয়া গেলে হয়তো বা নিশ্চয়ই বাংলা সাহিত্যের জন্য বাংলা ভাষাভাষী বাঙালী জাতির জন্য অনেক উপকারে আসত।

    মহাকবি ১৯৫১ সালে ২১ জুলাই বার্ধক্য জনিত কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। পুরাতন আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।