Category: তথ্যকণিকা
-
নবাবগঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে ৫টি ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানে উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের সাপখালি এলাকার ৫টি ইটভাটাকে ৫৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ডসহ ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিনভর অভিযান চালান পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ান উল-ইসলাম।ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, বায়ুদুষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের সাপখালী এলাকার বিবিসি ব্রিকস (জিগজ্যাগ) ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, এনবিআই ব্রিকস (জিগজ্যাগ) ২০ লাখ অর্থদণ্ড, গোল্ড ব্রিকস (জিগজ্যাগ) ৫ লাখ অর্থদণ্ড, জনতা ব্রিকস (জিগজ্যাগ) ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং জয়পাড়া ব্রিকস (জিগজ্যাগ) ৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ডসহ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।মোবাইল কোর্টে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা জেলার কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান এবং ঢাকা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক এসএম মনজুর-উল-আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব-১১ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় আইনগত সহযোগিতা করেন।ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ান উল-ইসলাম বলেন, বায়ুদুষণকারী অবৈধ ইটভাটা ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও এ ধরণের মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। -
পিলখানা ট্র্যাজেডি: বিস্ফোরক মামলার ১৭৮ জন মুক্তি পেল
২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় প্রায় ১৬ বছর পর ১৭৮ জন বিডিআর সদস্য বৃহস্পতিবার কারামুক্ত হচ্ছেন।
কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া গত ১৯ জানুয়ারি তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর ২১ জানুয়ারি কারা কর্তৃপক্ষ জামিনপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করে। সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পটভূমি ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ভয়াবহ বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
হত্যা মামলার রায়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে হাইকোর্টের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়।
বিস্ফোরক আইনের মামলায় ২০১০ সালে বিচারকাজ শুরু হলেও তা মাঝপথে স্থগিত ছিল। হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৭৮ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলায় বিচার চলমান থাকায় তারা এতদিন কারাগারে ছিলেন।
কারা কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে জানিয়েছে, “জামিন সংক্রান্ত সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।” এতদিন কারাগারে আটক থাকার পর আজ তাদের মুক্তির মাধ্যমে বিস্ফোরক মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শেষ হলো।
-
নবাবগঞ্জ ও দোহারের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সভা “জাতি জানতে চায়”
নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকের ভূমিকা বিষয়ক মতবিনিময় সভা “জাতি জানতে চায়” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৮ জানুয়ারি সকাল ১১টায় নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন আর্কাইভ (জুলাই-৩৬ ডট কম) অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।
ঢাকার অতি সন্নিকটের এই দুই উপজেলায় ৮ লাখ লোকের বাস। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলেও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন হয়নি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো ও প্রাইভেট ক্লিনিকের ঘিঞ্জি পরিবেশে রোগীরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রতিনিয়তই ভালমানের স্বাস্থ্যসেবা পেতে দুই উপজেলার রোগীদের ছুটতে হচ্ছে ঢাকায়। যদিও বা বর্তমানে এ চিত্রের খানিকটা পরিবর্তন এসেছে তবে তা খুবই যৎসামান্য। যতটা হওয়ার দরকার ততটা না। এমনি পরিস্থিতিতে আসু করনীয় কি হতে পারে।
সেইসাথে দুই উপজেলার ফার্মেসিগুলো কিভাবে আরো সময়উপযোগী করা যায় সেই বিষয়ে এই বিশেষ মতবিনিময় সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা বেসরকারি হাসপাতাল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হসপিটালের সিনিয়র কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা আলী আকবর তুষার,
নিউ লাইফ মেডিকেল সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন, মুক্তি ক্লিনিকের পরিচালক ফয়েজ আল মামুন, নবাবগঞ্জ ক্লিনিকের মো. মনজুর আলম, দেওয়ান ক্লিনিকের বিকাশ চন্দ্র হালদার, সুষমা চক্ষু হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পার্থ সারথি মন্ডল, কলাকোপা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বাবু লাল মোদকসহ কলাকোপা ইউনিয়ন পরিষদের সকল ওয়ার্ডের মেম্বারগণ, স্থানীয় ফার্মেসি ব্যবসায়ী, ছাত্র-শিক্ষকসহ সাধারণ মানুষ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জুলাই-৩৬ ডট কমের অন্যতম উদ্যোক্তা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রোগ্রাম প্ল্যানার, ভয়েস এশিয়ান ডট নিউজ এবং চ্যানেল এশিয়া ডট নিউজের এডিটর এন্ড সিইও ইঞ্জি. মোশাররফ জুয়েল।
ইঞ্জিঃ জুয়েল বলেন, আজকের এই আয়োজনে ছাত্র সমাজের ভূমিকার কথা অনস্বীকার্য। আয়োজনে সকল রকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসে ঢাকার বিখ্যাত ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল এবং নিউ লাইফ মেডিকেল সার্ভিসেস। তাদের কাছে কৃতজ্ঞ জুলাই-৩৬ পরিবার।
অনুষ্ঠানটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জুলাই-৩৬ ডট কমের আরেক উদ্যোক্তা এবং ভয়েস এশিয়ান ডট নিউজের নিউজ এডিটর মো. সাজেদুল হক ডিউক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ক্লিনিকের মালিকগন এই ওয়াদা করেন যে তারা সকলেই এই সেক্টরে ব্যবসার চেয়ে সেবাকে প্রাধান্য দিয়ে আগামীতে সব ধরনের সেবা রোগীদের দিয়ে যাবেন নিরলসভাবে। জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের অসীম ভূমিকার কথা স্বীকার করে উপস্থিত সকল ছাত্রদের বিশেষ ধন্যবাদ প্রদান করেন ক্লিনিক মালিকগন।
বিশেষ এই মতবিনিময় সভায় বেশ লক্ষ্যনীয় ছিলো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপস্থিতি। তাদের উৎসুক মনের নানাবিধ প্রশ্নে বেড়িয়ে আসে দুই উপজেলার স্বাস্থ্যখাতের আসল চিত্র। বৈষম্যহীন নতুন বাংলায় তারা দুই উপজেলার স্বাস্থ্যখাতে চমকপ্রদ পরিবর্তন দেখতে চায়। তাদের চাওয়া আমাদের এখানে গড়ে উঠা ক্লিনিকগুলো যেন আপডেট সেবা দিয়ে আমাদের রোগীদের পাশে থাকেন।
তাদের যেন হরহামেশাই স্বাস্থ্যসেবা নিতে ঢাকায় দৌড়াতে না হয়। তারা সকলেই এই ধরনের বিশেষ একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান জুলাই-৩৬ ডট কমকে। তারা সকলেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যপদ গ্রহণ করেন এবং আগামীতে সমাজ পরিবর্তনে নেয়া যেকোনো উদ্যোগে জুলাই-৩৬ ডট কমের সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
-
সিংগাইরে কৃষকদলের নতুন কমিটি গঠন
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা কৃষকদলের কমিটি বিলুপ্ত করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এটা জানিয়েছেন কৃষকদলের দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
জেলা কৃষকদলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাইদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বাদল সাক্ষরিত এই নবগঠিত কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
ঘোষিত কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন মনিরুল ইসলাম মোকা, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, সিনিয়র সহ-সভাপতি দেওয়ান ফয়েজুল ইসলাম বিপ্লব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোনায়েম বিপ্লব।
-
সিংগাইরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে অর্থদণ্ড
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ৩টি মিষ্টির দোকান মালিকের অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পৌরসভার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস।
এ সময় বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ৩টি মিষ্টির দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার রাখার অপরাধে রাজিব মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ১০ হাজার টাকা, রাজিব সুইটসকে ৫ হাজার ও কাঁলাচান মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন এবং সকলের অর্থদণ্ড নগদ আদায় করা হয়।
জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
-
সিরাজদিখানে জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরণ
মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরণ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সারে ১০টায় সিরাজদিখান নিমতলা বাসস্ট্যান্ড চত্বর থেকে শুরু হয়ে সিরাজদিখানের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এই লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির রাসেল আহম্মেদ, এ্যাডভোকেট মো. মারুফ হাসান মন্টি, ডা. আল মাহবুবু রবিন, ইঞ্জিনিয়ার সালমান সাদ্দি, আলী নেওয়াজ উজ্জল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিরাজদিখান শাখার জাকারিয়া আহম্মেদ সাদ, মো. বাবুল হোসেন, শিহাব আহম্মেদ, নাইম, ইয়ামিন প্রমুখ।
লিফলেট বিতরণকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য রাসেল আহম্মেদ, এ্যাডভোকেট মো. মারুফ হাসান মন্টি বলেন, ফ্যাসিবাদের সংবিধান আমরা মানি না। এটাকে পরিবর্তন করে জুলাই বিপ্লবের চাহিদা অনুযায়ী সংবিধান তৈরি করতে হবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশে গণতন্ত্র কায়েম হয়েছে দেখতে চান তারা। আর কখনোই ফ্যাসীবাদী রাষ্ট্র কায়েম করতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
-
দোহার ও নবাবগঞ্জ পৃথক আসন পুনরুদ্ধারে লিফলেট বিতরণ
ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা পৃথক সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধারে গণসচেতনতার অংশ হিসেবে দোহার ও নবাবগঞ্জ সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধার কমিটি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে লিফলেট বিতরণের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় সংগঠনের আহ্বায়ক আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মো. রাসেলের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও মানবজমিনের সিনিয়র রিপোর্টার মো. রাশিম মোল্লা, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির হোসেন রানা, জয়পাড়া কলেজের সাবেক জিএস ফজলুল হক বেলায়েদি, দোহার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল আকন্দ,
জয়পাড়া কলেজের সাবেক ভিপি আতিকুর রহমান শুয়েম, সাবেক ছাত্রনেতা কবীর আহমেদ, গণঅধিকার পরিষদের দোহার উপজেলার আহ্বায়ক আব্দুর জব্বার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান আদনান, মো. বিল্লাল হোসেন, এ আর শিপন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ূন কবির, বৃহত্তর ঢাকা জেলার দপ্তর সম্পাদক কাজী মাসুদ, অ্যাডভোকেট সুমন মৃধা, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, সুমন, সোহাগসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা বলেন, ঢাকার কাছে হওয়ার পরেও দোহার নবাবগঞ্জ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এক সময় দোহার নবাবগঞ্জ দুটি আলাদা আসন ছিল কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে আসন দুটি একত্রিত করা হয়। এর ফলে দোহার নবাবগঞ্জের জনগণ উন্নয়ন বঞ্চিত হয়। দোহার নবাবগঞ্জের উন্নয়নে স্বার্থে আসন দুটি আগের রূপে ফিরিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব হয়ে পড়েছে।
এ সময় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ , গণঅধিকার পরিষদ , বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ দোহার নবাবগঞ্জ আসন পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে সমর্থন জানায়।
প্রচারণার অংশ হিসেবে দোহারের জয়পাড়া, মালিকান্দা, লটাখোলাসহ প্রায় ২০টি স্পটে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে এলাকাবাসী সার্বিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এমন কার্যক্রমের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
-
দোহারে অটোরিক্সা গ্যারেজ মালিক হত্যাকান্ডে গ্রেফতার নয়
ঢাকার দোহারে অটোরিক্সা গ্যারেজ মালিক শেখ শহীদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. মানিক মোল্লা (৪২), সিরুতাজ বেগম (৩৯), মো. সুমন খাঁ (৩২), মাহবুব (৫০), আমজাদ (৩৫), রিক্সাচালক আল আমিন (৪২), ভাংগাড়ীর দোকানদার আল আমিন (৩৫), মালেক (৫৭) এবং শাহ আলম (৩৬)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও ৮ টি অটোরিক্সার ব্যাটারী ও ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে দোহার থানায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন দোহার সার্কেলের সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. রেজাউল করিম ও ওসি তদন্ত মো. নুরুন্নবী ইসলাম।
সহকারী পুলিশ সুপার আরও জানান, গত বছর নভেম্বর মাসের ২২ তারিখ রাতে উপজেলার লটাখোলা নতুন বাজারে অটোরিক্সার গ্যারেজ মালিক শেখ শহীদ খুন হয়। এরপর তার ভাই শেখ ছোরহাব বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রাম থেকে মানিক মোল্লা ও সিরুতাজ বেগমকে গ্রেফতার করে।
পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডের মূলহোতা সুমন খাঁকে ঢাকার দারুসসালাম থানার গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা হতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাদের তথ্যের ভিত্তিতে বাকীদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা আদালতে ১৪৪ ধারায় এ হত্যাকান্ডের সাথে জরিত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে মামলার বাদী শেখ ছোরহাব বলেন, আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের ফাসি চাই।
-
দোহারে এক সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঢাকার দোহারে মারজান (২৮) নামের এক সন্তানের জননীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। নিহত মারজন উপজেলার খালপাড় বউ বাজার গ্রামের আব্দুস সোবহান বেপারীর বড় মেয়ে।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মারজান ৮ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তানসহ বাবার বাড়িতে থাকতো। বাবা ও স্বামী কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন বলে জানা যায়।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মারজান মাঝে মধ্যেই নিজেই রাগে ক্ষোভে নিজের হাত নিজেই কাটতো। মাঝে মাঝে আত্মহত্যা করবে বলেও চেচামেচি করতো। মঙ্গলবার দুপুরে মারজান তার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
পরে তার মা লাইলি বেগম দরজা খুলতে বললেও মারজানের কোন উত্তর না পেয়ে স্থানীয়দের ডাকলে দরজা ভেঙ্গে মারজানকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।পরে তাকে উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মারজানকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নিহত মারজানের পিতা আব্দুস সোবহান বলেন, আমার মেয়ে মাঝে মাঝেই আত্মহত্যা করবে বলে চেচামেচি করতো। আমার মেয়ে নিজেই আত্মহত্যা করেছে। কারো প্রতি আমাদের কোন অভিযোগ নেই।
এ ব্যাপারে দোহার থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের জন্য পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
-
বিপ্লবী অনিল চন্দ্র রায়ের ৭৩তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ
অসহযোগ ও স্বদেশী আন্দোলনের মহান বিপ্লবী অনিল চন্দ্র রায়ের ৭৩তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ছিলেন। ১৯৫২ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯০১ সালের ২৬মে মানিকগঞ্জের বায়রা গ্রামে মামা বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাত্মা গান্ধী ও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর স্নেহধন্য ছিলেন অনিল চন্দ্র রায়। মহাত্মা গান্ধীর ঢাকায় আগমন হয়েছিল তাঁরই নেতৃত্বে। তারই নামকরণের স্বাক্ষর রয়েছে নবাবগঞ্জের কলাকোপা ইউনিয়নের সমসাবাদ গ্রামের ‘গান্ধীর মাঠ’। যেখানে স্বদেশী আন্দোলনের সভা করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। যা আজো এলাকাবাসীর মাঝে ‘গান্ধীর মাঠ’ নামে স্মৃতি হয়ে আছে।
বিপ্লবী অনিল চন্দ্র রায়ের পিতা অরুণ চন্দ্র রায় ছিলেন ঢাকা জেলার সরকারি শিক্ষা বিভাগের উচ্চ পদাধিকারী। তাঁর স্ত্রী লীলা নাগও ছিলেন বিপ্লবী। লীলা নাগ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী।
বিপ্লবী অনিল চন্দ্র রায় ১৯১৪ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে জড়িয়ে পড়েন বিপ্লবী সংগঠনের সাথে। ১৯১৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পরীক্ষায় পাস করেন তিনি। ১৯২১ সালে বিএ পাস এবং ১৯২৩ সালে ইংরেজিতে এমএ পাস করেন।
আপন প্রতিভা গুণে ১৯২০ সালের দিকে ঢাকার সংগঠনের নেতৃত্ব চলে আসে তার হাতে। ১৯৩০ সালে কারারুদ্ধ থাকাকালীন সংঘের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী লীলা নাগ। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে তিনি ও তাঁর স্ত্রী বারবার কারাবরণ করেছেন। কারাগারে থাকাকালীন রচনা করেছেন বিবাহ ও পরিবারের ক্রমবিকাশ, হেগেল প্রসঙ্গে, ইতিহাসের বস্তুবাদী ব্যাখ্যা, সমাজতন্ত্রীর দৃষ্টিতে মার্কসবাদ ইত্যাদি গ্রন্থ। পরবর্তীতে ভারতের প্রথম লোকসভা নির্বাচনে অনিল চন্দ্র রায় প্রার্থী হয়েছিলেন।
‘বিপ্লব ও বিপ্লবীর মৃত্যু নেই’ কথাটি আজ অযন্ত অবহেলায় গুমরে কাঁদছে। এ মহান বিপ্লবীর জন্ম-মৃত্যুর দিন এলেও নিরবে কেটে যায়। এখন শুধু তিনি আছেন ইতিহাসের পাতায়। বাংলা হরফের বর্ণমালা হয়ে। এ বিপ্লবীর মতোই অযন্ত অবহেলায় পড়ে আছে নবাবগঞ্জের গোবিন্দপুর গ্রামে বিপ্লবীর পৈত্রিক বাড়িটিও।
স্থানীয় সুশিল সমাজের মতামত, বিপ্লবীর পৈত্রিক বাড়িটি হতে পারে অসহযোগ ও স্বদেশী আন্দোলনের স্মৃতি সংরক্ষণাগার। যেখানে সারাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী ইতিহাস সংরক্ষণাগার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।