Category: শিক্ষা

  • কলাকোপা কোকিলপ্যারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তারুণ্য উৎসব

    কলাকোপা কোকিলপ্যারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তারুণ্য উৎসব

    ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শতবর্ষের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলাকোপা কোকিলপ্যারি উচ্চবিদ্যালয়ে তারুণ্য উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দিনব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিঠা মেলা, লোকশিল্প, কারুশিল্প, মৃতশিল্প, হস্তশিল্প প্রদর্শনী করা হয়।

    অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহআলম।

    অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এড. খন্দকার আবুল কালাম, হুমায়ুন চৌধুরী, অভিভাবক প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, মো. রকিবুল ইসলাম, মো. আল মেরাজ প্রমুখ।

  • উন্নত জাতি গঠনে মেধা বিকাশের বিকল্প নেই; মাউশি চেয়ারম্যান

    উন্নত জাতি গঠনে মেধা বিকাশের বিকল্প নেই; মাউশি চেয়ারম্যান

    মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, উন্নত জাতি গঠনে মেধা বিকাশের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান প্রজম্মকে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। তাই নতুন চিন্তা চেতনা ও জ্ঞান অনুশীলনে তাঁদের আরো এগিয়ে যেতে হবে।

    রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার নবাবগঞ্জের শিকারীপাড়া তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

    কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এড. রফিক শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথিরা আরো বলেন, শিক্ষার সাথে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির চর্চ্চা করতে হবে। মাদক সন্ত্রাস ও দুর্নীতি প্রতিরোধে নতুন প্রজম্মকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলে সমাজ থেকে অনাচার ও বৈষম্য দূর হবে।

    বক্তারা বলেন, আজ ছাত্র সমাজের কারণেই নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের এ ত্যাগ ধরে রাখতে হবে। আজকের ছাত্ররাই আগামীর ভবিষ্যত। তারাই সৃজনশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

    এসময় অতিথিরা কৃতি শিক্ষার্থী ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন, খন্দকার আবুল কালাম, আব্দুল রহিম, ব্যারিষ্টার হেদায়েত হোসেন চৌধুরী, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

  • নবাবগঞ্জের আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া

    নবাবগঞ্জের আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া

    ঢাকার নবাবগঞ্জের চুড়াইন আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) চুড়াইন সাংস্কৃতিক সংঘের মাঠে এ অনুষ্ঠান করা হয়।

    বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের দাতা সদস্য মো. নজরুল ইসলাম প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লীনা দাস।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, চুড়াইন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইউসুফ খান, চুড়াইন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান লিটন,

    চুড়াইন সাংস্কৃতিক সংঘের সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরুল আলম, সমাজকর্মী মো. জাহাঙ্গীর আলী, মোহাম্মদ আলী খান বাবুল, কামরুজ্জামান খান, মো. বাহারুল ইসলাম, শফিউল আলম সোহেল, মো. রাজু শেখ।

    এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংগীতের সাথে পাতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগীতা শুরু হয়। দিনব্যাপি শেষে অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

  • ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে; ব্যারিস্টার অমি

    ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে; ব্যারিস্টার অমি

    ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি বলেছেন, শিক্ষাই হচ্ছে জাতির মেরুদন্ড। কিন্তু গত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার জোরপূর্বক এই জাতির ঘাড়ে চেপে বসে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সময় উপযোগী করে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ।

    তিনি আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে কালিন্দীতে কেরানীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, চার বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার দীর্ঘদিন জেল খাটিয়েছেন। তিনি এখন চিকিৎসার জন্য বিদেশে আছেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।

    এ সময় স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ বিলকিস খন্দকারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসমত উল্লাহ নবী, সিনিয়র সহ-সভাপতি শামীম হাসান, বিএনপি নেতা মেহবুব হোসেন, সাইদুর রহমান আংকু, শামসুল হক লিটন, সেলিম রেজা, ডিপ্টি ও মডেল উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ।

    অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।

  • সিরাজদিখানে মেডিকেলে চান্স পেলো চা দোকানদারের ছেলে রিফাত

    সিরাজদিখানে মেডিকেলে চান্স পেলো চা দোকানদারের ছেলে রিফাত

    মেডিকেলে ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে পড়ার চান্স পেয়েছে মো. রিফাত বেপারী।

    সে মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের মজিদপুর এলাকার চা দোকানদার মো. ইউনোস বেপারীর ছেলে। মো. ইউনোস বেপারী কেয়াইন কাউয়ামারা বাজারের একজন চা বিক্রেতা ।

    স্থানীয় স্কুল শিক্ষক অনন্ত চক্রবর্তী ও অধির রঞ্জন মন্ডল বলেন, রিফাত বেপারী খুবই মেধাবী একজন শিক্ষার্থী। সে মেডিকেলে ভর্তির জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে। সম্পূর্ণ নিজের মেধা ও প্রজ্ঞায় রিফাত মেডিকেলে পড়ার চান্স পেয়েছে। তার বাবা একজন চা ও ভাজাপুড়ি দোকানদার । এলাকায় তারা খুবই সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। পরিবারে সে ছোট ছেলে। তার আরও এক ভাই রয়েছে। তাদের পরিবারে খুব অস্বচ্ছতা বিরাজ করছে।

    শুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি নিখিল চক্রবর্তী বলেন, রিফাত উপজেলার শুলপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। স্কুলে সে কখনো প্রাইভেট পরেনি । এই মেডিকেলে পরীক্ষা দিয়ে মেধার অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। সে মজিদপুরের তথা আমাদের গর্ব। উপজেলায় সে অন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা তার ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করছি। রিফাত মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় এলাকায় আনন্দ বিরাজ করছে।

    মো. রিফাত বলেন, ভবিষ্যতে রিফাত পড়তে চান কার্ডিওলজি নিয়ে। অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য কিছু করতে চান। তিনি বলেন, ছোট সময় থেকে পড়া অবস্থায় সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধুলা কম করে পড়াশোনায় মনোযোগ ছিল আমার। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবাকে সহযোগিতা করতাম, দোকানে বাবার সঙ্গে কাজ করতাম। এতে তাঁর খারাপ লাগত না, ভালো লাগত।

    রিফাত আরোও জানান, শুলপুর সরকারি প্রাথমীক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণিতে টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছি। অভাবের কারণে নিজ গ্রামের শুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন রিফাত। ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেন। এরপর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ভর্তি হয়ে ২০২৪ সালে এ প্লাস পেয়ে পাস করেন। অর্থের অভাবে অন্য সহপাঠীদের মতো বেশী কুচিং করতে পারেননি। । কিন্তু পড়াশোনা থেকে সরে যাননি। সব সময় চিন্তা ছিল তাঁকে বড় হতে হবে। বাবা ও মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে হবে।

    রিফাতের বাবা ইউনোস বেপারী বলেন, ছোট টিনের ঘর ও ভিটা ছাড়া কিছুই নেই তাঁর। অভাবের সংসার। জীবনে কোনো দিন কোনো কিছুর জন্য বায়না করেনি আমার রিফাত। ছোটবেলা থেকেই ছেলেটা খুবই ভালো, পড়তে বলা লাগেনি। চায়ের দোকানে এসে কাজ করেছে আবার পড়াশোনাও করেছে। দোকানে বসে পুরি ও সমুচা বানিয়েছে, বিক্রি করেছে। রিফাত ডাক্তারিতে চান্স পাওয়ায় তিনি ও তাঁর পরিবারের সবাই গর্বিত। তিনি ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

    রিফাতের মা ঝর্না বেগম বলেন, আমার বড় ছেলেকে অভাবের কারনে পড়াতে পাড়ি নাই,ছোট ছেলে অভাবের মধ্যেই পড়ালেখা করেছে। ছেলে বড় ডাক্তার হউক। আমি খুবই আনন্দিত।

    সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বলেন, মো. রিফাত বেপারী হচ্ছে সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের মডেল, আইকন ও অনুপ্রেণা। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হিসেবে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাওয়ায় রিফাতকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। এছাড়াও তার মেডিকেলে পড়তে সবসময় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা থাকবে।

    তিনি মো. রিফাতের ভবিষ্যৎ জীবনের উজ্জ্বলতা কামনা করেন। রিফাত সারাদেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেডিকেলে ভর্তি পরিক্ষায় ৩২৩তম স্থান অর্জন করেন।

  • মানসম্মত শিক্ষার অনেক অভাব রয়ে গেছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

    মানসম্মত শিক্ষার অনেক অভাব রয়ে গেছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

    অন্তর্বতীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পড়াশুনার প্রচুর সুযোগ রয়েছে কিন্তু মানসম্মত শিক্ষার অনেক অনেক অভাব রয়ে গেছে। শিক্ষকের সংকট যেমন আছে, তেমনি শিক্ষকের মানের সংকটও আছে। সরকার অবকাঠামোগত দিক থেকে বিরাট সহযোগিতা দিয়েছে। সারা দেশে এখন ভাঙাচোরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু মানসম্পন্ন শিক্ষকের সংকট রয়ে গেছে।

    উপদেষ্টা আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকাল সারে ৩ টায় সিরাজদিখানে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানকে ধারণ করে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে বিক্রমপুর কুঞ্জবিহারী সরকারী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত তিনদিন ব্যাপী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত এতে সভাপতিত্ব করেন সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তার।

    সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তার জানান, এরকম কার্যক্রম দেখে আমি আনন্দিত। প্রত্যাশা থাকবে এভাবেই তরুণরা বিপ্লবী হয়ে আগামী প্রজন্মকে নেতৃত্ব দেবে। দক্ষতা অর্জন ছাড়া কেউ সামনের দিকে এগোতে পারে না। তাই বই পড়ার মাধ্যমে যুব সমাজকে জ্ঞানের পরিধি সমৃদ্ধ করে দক্ষতা উন্নয়নের আহবান জানান তিনি।

    সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম আমানুল্লাহ, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তার, বিক্রমপুর কুঞ্জবিহারী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রসময় কীর্ত্তনীয়া বক্তব্য রাখেন।

  • দোহার ও নবাবগঞ্জে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা আংশিক, প্রাক প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে কোন বই পায়নি

    দোহার ও নবাবগঞ্জে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা আংশিক, প্রাক প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে কোন বই পায়নি

    বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন ( ১ ও ২ জানুয়ারি) শেষে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জের  প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা আংশিক বই পেলেও; কোন বই পায়নি প্রাক প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা।

    মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও ১০ম শ্রেণিতে ৩টি করে বই পেলেও সপ্তম, অষ্টম, ৯ম শ্রেণির বই কেউ পায়নি। যেসব শিক্ষার্থী নতুন বই পেয়েছে, তারা খুশি মনে বাড়ি ফিরলেও; চাহিদা অনুযায়ী বই না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

    উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, নবাবগঞ্জ উপজেলায় ১৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির ১ লাখ ৮২ হাজার ৭০০টি বই ও প্রাক-প্রাথমিকের (শিশু শ্রেণির) ৬ হাজার ৩০০টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বছরের প্রথম দিনে ১ম ও ২য় শ্রেণির ৩টি করে বই দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের হাতে।

    ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ বইয়ের চাহিদার একটি বইও পায়নি শিক্ষার্থীরা। কবে বই পৌঁছাবে সেটি নিশ্চিত নন শিক্ষা কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর হাতে দেওয়া সম্ভব হয়নি নতুন বই।

    নবাবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহজালাল জানান, চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক বই সরবরাহ করতে না পারায় সকল শিক্ষার্থীর বই সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলার ৪১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থী বিপরীতে বইয়ের চাহিদা প্রায় ৪ লাখ বই। ৫টি মাদরাসা ও ১৫টি ইবতেদায়ী মাদরাসায় চাহিদা প্রায় ৫ হাজার বইয়ের।

    এর মধ্যে ৬ষ্ঠ ও ১০ম শ্রেণির তিনটি করে বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। ৭ম, ৮ম, ৯ম শ্রেণীর  শিক্ষার্থীদের এখনও কোন বই দিতে পারিনি। এছাড়া কারিগরীসহ অন্যান্য শ্রেণির নতুন বই এখনো হাতে পাইনি। তবে আগামী ২০ জানুয়ারীর মধ্যেই তাদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

    এদিকে দোহার উপজেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণীর বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হলেও প্রাক-প্রাথমিক, ৪র্থ ও ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাতে কোন বই তুলে দিতে পারেনি দোহার উপজেলা শিক্ষা অফিস।

  • বাহ্রা আব্দুল হালিম মেম্বার কিন্ডারগার্টেনে বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ

    বাহ্রা আব্দুল হালিম মেম্বার কিন্ডারগার্টেনে বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ

    ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার সুনামধন্য বিদ্যাপীঠ বাহ্রা আব্দুল হালিম মেম্বার কিন্ডারগার্টেনে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠান করা হয়েছে।

    বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান করা হয়। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. সিরাজ মিয়া।

    প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পিকেবি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহ্ আজিজুর রহমান।

    প্রধান বক্তা ছিলেন বাহ্রা আব্দুল ওয়াসেক মেমোরিয়াল হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবুল বাশার।

    বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সুন্দর জীবন গঠনে লেখাপড়ার বিকল্প নেই। নিজেকে মেধাবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করো। দেশ, মা-বাবা ও শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করো।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান তুষার, বিদুৎসাহী সদস্য আব্দুল মান্নান মাষ্টার, অভিভাবক সদস্য আব্দুল মালেক, সমাজকর্মী মো. নাছের মোল্লা, এবাদত হোসেন।

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোখসানা আক্তার, শিক্ষক কামরুন নাহার শেলী, অভিভাবক সদস্য শাহিনুর বেগম, মনিরা বেগম, আয়েশা আক্তার, আইরিন আক্তার, বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুপা আক্তার, নিঝু আক্তার, সোমা আক্তার, সেফালী আক্তার, সানী আক্তার প্রমুখ।

    উল্লেখ্য, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর যাবত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। ব্যাতক্রমী শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর ভাল ফলাফল করে আসছে। শিক্ষকদের দক্ষতা পরিচালনায় মেধাবী শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখছেন।

  • সিংগাইরের বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থী পুনর্মিলনী উদযাপন

    সিংগাইরের বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থী পুনর্মিলনী উদযাপন

    ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ রফিক উদ্দিন আহম্মেদের স্মৃতি বিজড়িত স্কুল মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উদযাপিত হয়েছে।

    আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী ওই বিদ্যালয়ের ১৯৭৯ থেকে ২০০০ ব্যাচ পর্যন্ত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

    জাতীয় পতাকা উত্তোলন,পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ব্যাচ ভিত্তিক শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুল জীবনের স্মৃতি চারণ করেন।

    পরে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ভিজিটিং প্রফেসর ড. সুনীল কুমার রায়, ম্যাঙ্গো গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মান্নান খান বক্তব্য দেন।

    এ সময় বয়োবৃদ্ধ শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দেবাশীষ চন্দ্র সরকার ( মরন স্যার), অরুণানন্দ ভট্টাচার্য, শাহাদাৎ হোসেন মাষ্টার ও আব্দুল লতিফ মোল্লা ।

    ১৯৮৭ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র আবু বকর সিদ্দিকী ও আজিজুর রহমান বাদশার যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর মো. সিদ্দিকুর রহমান।

    বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুনর্মিলনী উদযাপন শেষ হয়।

  • জয়পাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কুদ্দুস, সম্পাদক আজিজ

    জয়পাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কুদ্দুস, সম্পাদক আজিজ

    ঢাকার দোহারের ঐতিহ্যবাহী জয়পাড়া বাজার ব্যবসায়ী বহুমূখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।

    সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিটির সভাপতি উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আরিফা বানু ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে সভাপতি পদে এসএম কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক পদে আ. আজিজ নির্বাচিত হয়েছেন।

    জানা যায়, অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৫০০ ভোট পেয়ে এসএম কুদ্দুস সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রইচ উদ্দিন পান ৪৪১ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ৫৩৮ ভোট পেয়ে আ. আজিজ নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সুমন পেয়েছেন ১৬২ ভোট।

    এছাড়া সহ-সভাপতি পদে পরশ আলী ৩৪৭ ভোট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মো. ইব্রাহীম ৩৯২ ভোট ও কোষাধ্যক্ষ পদে মো. বিল্লাল হোসেন ৩৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

    সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. জলিল মিয়া (৩৯৬ ভোট), ওবায়দুল ইসলাম (৪৪৩ ভোট), হাবিবুর রহমান (৫০৩ ভোট), মো. আলমাছ হোসেন (৫১৬ ভোট), মো. শাহিন বেপারী (৫৬৭ ভোট), রিপন সাহা (৫৩৫ ভোট) ও মো. মামুন হোসেন (৪০০ ভোট) পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

    জয়পাড়া বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির মোট ভোটার ১০৩৮ জন। নির্বাচনে সভাপতি পদে ২ জন, সহ-সভাপতি পদে ৪, সম্পাদক পদে ৪, যুগ্ম সম্পাদক পদে ৪, কোষাধ্যক্ষ ৩ ও সদস্য পদে ৯জন সহ মোট ২৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    এরআগে সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া নির্বাচনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে ভোটাররা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোট কেন্দ্রকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছিলেন।

    ভোটাররা জানান, দীর্ঘদিন পর উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট দিতে পেরে মহা খুঁশি তাঁরা।