“মাটির সংস্কৃতি ধরে রাখবো আমরা, ছড়িয়ে দিব সারা বিশ্বে” প্রতিপাদ্য ধারণ করে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় শরতকালীন নাড়ু উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১টায় কলাকোপা কোকিলপ্যারি উচ্চ বিদ্যালয় সভা কক্ষে এ অনুষ্ঠান করা হয়। সাংস্কৃতিক সংগঠন নবাবগঞ্জ ললিতকলা একাডেমি (নাফা) ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইনভিশন একশন রিওয়ার্ড এ্যাসেট (ইয়ারা) এর আয়োজন।
নাফার ব্যবস্থাপনা পরিচালক লতিফা রহমান লতা এতে সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনা সভার শুরুতে নাফার আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা ফাদার ডেভিড বারেলের মৃতুতে শোক প্রকাশ করে দাড়িয়ে ১মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন কলাকোপা কোকিলপ্যারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহআলম, গোল্লা সেন্থেক্লাস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিস্টার রুপালি কস্টা, বান্দুরা হলিক্রস স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক পল পিন্টু গমেজ, টেস্টি টিপস ফুড ব্লগার আনিকা ইয়াসমিন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন নাফার সভাপতি শফিউর রহমান তোতা, গানের শিক্ষক উৎপল ডি কস্তা, গিটারে ম্যাক গোমেজ, রোহান শেখ, চিত্রকলার শিক্ষক কানিজ আক্তার, নৃত্য শিক্ষক তিথি বাড়ৈ, অঞ্জনা গোমেজ, গানের শিক্ষক মো. সেলিম, সমাজকর্মী গৌতম সাহা, বারুয়াখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফাতেমা আক্তার, অভিভাবক প্রতিনিধি সীমা আক্তার, গোল্লা সেন্থেক্লাস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুক্তা মন্ডল প্রমুখ।
নাফার সাধারণ সম্পাদক ও ইয়ার‘র প্রতিষ্ঠাতা সায়মা রহমান তুলির পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও সার্বিক সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ বলেন, এ আয়োজন কোন ধর্ম, বর্ণের নয়। এটা বাঙ্গালির সংস্কৃতি। এটা ধারণ করতে শিখতে হবে। এটাকে সাম্প্রদায়িক নয় সম্প্রীতির ভাবুন।
আলোচনা সভা শেষে নাফার শিল্পীদের পরিবেশনায় শরতকালীন নাচ, গান, ফ্যাশন শো প্রদর্শন করা হয়।
পরে নাড়ু নিয়ে আসা ৩০জন প্রতিযোগির নাড়ু প্রদর্শণ করেন। একই সাথে লক্ষী পূজার মাটির সরা, হাড়ি, কলসসহ কুটির শিল্প প্রদর্শন করা হয়।
নাড়ু খেতে গোপাল ও মিঠাই এসেছিল সেজে। শারদীয়া দুর্গা দেবী সেজেছে আরও কয়েক শিল্পী। দুর্গা সাজের ৪ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
শেষে অতিথিবৃন্দ প্রতিযোগিদের কর্ম বিচার করে বিজয়ীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।
আয়োজকরা জানান, বৈরি আবহাওয়া হলেও প্রথম বারের মত এই উৎসব হবার কারনে ব্যাপক সারা পাওয়া যায়। নাড়ু বাংলা সংস্কৃতির একটা অংশ। কোন ধর্মীয় খাবার নয়। সকল ধর্মের নারী ও পুরুষ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে। দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে দীর্ঘ ২৫ বছর কাজ করছে নাফা।