Category: সাহিত্য ও শিক্ষা

  • মাধুরী বণিকের স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া উচিত; শাহরিয়ার কবির

    মাধুরী বণিকের স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া উচিত; শাহরিয়ার কবির

    ঢাকার নবাবগঞ্জের শিক্ষাদাত্রী মাধুরী বণিককে স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া উচিৎ বলে দাবী জানিয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালান নির্মুল কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।

    জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার নবাবগঞ্জের শিক্ষাদাত্রী মাধুরী বণিককে সংবর্ধনা প্রদান, শিশুদের রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা সভায় তিনি এ দাবী জানান।

    শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় উপজেলার পানালিয়া গ্রামের মাধুরী বণিকের গাছতলার স্কুলে একাত্তরের ঘাতক দালান নির্মুল কমিটি এ আয়োজন করেন।

    শাহরিয়ার কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষাদাত্রী মাধুরী বণিককে সংবর্ধনা দিতে এ আয়োজন। আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির ১০জন নেতা এখানে এসেছি। আমরা মনেকরি মাধুরী বণিককে জাতীয় পর্যায়ে সংবর্ধনা জানানো উচিত। স্বাদীনতা পুরস্কার কারা পান? আমরা জানি না। শিক্ষার জন্য মাধুরী বণিক যদি স্বাধীনতা পুরস্কার না পান, ধিক সে পুরস্কারকে। যারা এ পুরস্কার নিচ্ছেন, আর যারা এ পুরস্কার নিচ্ছেন।

    তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে সরষিনা পীরকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তি বাহিনীর বিরুদ্ধে লেখা সাংবাদিক খন্দকার আব্দুল হামিদকেও স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কিন্তু মাধুরী বণিকের মতো শিক্ষাদাত্রী যারা, যিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে সারা জীবন উৎসর্গ করেছেন এমন একজন মানুষ, যাকে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করতে পারিনি। এটা রাষ্ট্রীয় লজ্জা, জাতীয় লজ্জা। এ লজ্জার কিছুটা আজকে আমরা ঘুচালাম। আমরা আশা করবো আগামীতে মাধুরী বণিককে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা জানানো হবে।

    মাধুরী বণিক স্থানীয়ভাবে নারী ও শিশু অধিকার কর্মী হিসেবে পরিচিত। এলাকার শিশু ও নারী শিক্ষা বিস্তারে তার অনণ্য ভূমিকা রয়েছে। সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তরের লেখক কলামে মাধুরী বণিককে নিয়ে কলাম প্রকাশ হয়। কলামটি একাত্তরের ঘাতক দালান নির্মুল কমিটির নজরে এলে তারা মাধুরী বণিকের খোঁজ নিয়ে তাকে সংবর্ধনা জানালেন।

    আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালান নির্মুল কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক মাধুরী বণিককে সংবর্ধনা দিতে পেরে আত্মতুষ্টি পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, এমন একটি মানুষের কাছে আসতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।

    সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাধুরী বণিকের জন্য নগদ এক লাখ ৩ হাজার টাকা, সাড়ে ৭শত বই দেয়া হয়। এছাড়া সাংবাদিক মুন্নি সাহার পক্ষ থেকেও প্রায় ৭শ’ বই উপহার দেয়া হয় তার স্কুলের শিশু ও নারীদের পড়ার জন্য।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাত্তরের ঘাতক দালান নির্মুল কমিটির সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামল নাসরিন চৌধুরী।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্মুল কমিটির সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বারক আলভী, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর টাবী, জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের নির্বাহী সভাপতি মো. শওকত আলী, নির্মুল কমিটির আইটি সেলের সভাপতি আসিফ মুনীর।

    আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মুন্নি সাহা, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আ. হালিম, নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ইব্রাহীম খলিল, সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন। তা শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

    শেষে অতিথিবৃন্দ মাধুরী বণিকের পৈত্রিক বাড়ি পরিদর্শন করেন। এসময় বাড়ি মেরামতসহ একটি স্কুল ও লাইব্রেরী করার জন্য ঘোষণা করা হয়।

  • একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে কামাল হোসেন টিপুর রোমান্টিক উপন্যাস ‘অভিমান’

    একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে কামাল হোসেন টিপুর রোমান্টিক উপন্যাস ‘অভিমান’

    অমর ‘একুশে গ্রন্থমেলা’ ২০২৩ এ প্রকাশিত হয়েছে এই সময়ের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ‘কামাল হোসেন টিপু’র রোমান্টিক উপন্যাস ‘অভিমান’। ‘অভিমান’ স্কুল জীবনের প্রেমকাহিনী নিয়ে লেখা। এই উপন্যাসে লেখক এ সময়ের গতানুগতিক ‘দৈহিক ভালোবাসা’কে এড়িয়ে গিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থধারার উপাখ্যান রচনায় মনোনিবেশ করেন।

    উপন্যাসের শুরুর দিকটা দুষ্টুমি আর হেয়ালিপনার খুনসুটিতে ভরা। এর ফাঁকে লেখক দুই তরুণ-তরুণীর মনে ভালো লাগার বীজ বুনে ভালোবাসার রস সৃষ্টির চেষ্টা করেন। এক সময় তিনি সফলও হন। কিন্তু মানবপ্রেম কখনো নিদির্ষ্ট গতিধারায় চলতে পারে না। কারণ, ভালোবাসা যত গভীর হয়ে হাসে বিচ্ছেদ তত নিকটে আসে। এই উপন্যাসেও তাই হয়েছে। অর্থ্যাৎ উপন্যাসের মাঝামাঝি দীর্ঘ সাড়ে সাত বছরের বিচ্ছেদ টেনে এনেছেন লেখক। এরপর কি হলো? এরপর রোমান্টিক উপন্যাসিক কামাল হোসেন টিপু দীর্ঘ বিচ্ছেদকে পুনরায় পুরনো ভালোবাসায় ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।

    এবার এই উপন্যাসের কয়েকটি আলোচ্য উক্তি তুলে ধরা যাক,
    “রোমানাকে যতই দেখছি ততই ভালো লাগছে। কিন্তু হাতটা ভীষণ চুলকাচ্ছে দোস্ত।
    রাজিব আবিরের মাথায় ঢুঁ মেরে বলল, রোমানাকে দেখবি দেখ। কিন্তু ঢিল ছুড়বি না।”

    “এত অভিমান তোমার নিহা! তোমার এই অভিমান আমাদের গেঁথেই চলেছে দীর্ঘ বিচ্ছেদের সুতোয়। নিহা, কোথায় তোমার সেই উদার মন। সেও কি তোমার মতো অভিমানী এখন! জানো নিহা, মাঝে মাঝে মনে হয় আর কোনো দিন তোমার দেখা পাবো না আমি। কোনোদিন বুঝি আর দেখা হবে না তোমার-আমার!”

    “খুব ছোট্ট একটা শব্দ ‘স্যরি’। এই একটি শব্দ কি পারবে, আমার সাড়ে সাত বছরের বিচ্ছেদযন্ত্রণাকে ভুলিয়ে দিতে? বলো নিহা, ‘স্যরি’ শব্দাটা কি আমাদের হারিয়ে যাওয়া সাড়ে সাতটি বছর ফিরিয়ে দিতে পারবে? এই সাড়ে সাতটি বছর ধরে আমি শুধু তোমাকে খুঁজেছি।”

    “তোমার স্মৃতিজড়ানো এই স্কুলআঙিনায় আমি অসংখ্য বার এসেছি। এই, এখানটায় বসেছি। বিশ্বাস না-হলে এই কড়ই গাছটাকে জিজ্ঞেস করে দেখ, তোমার অপেক্ষায় কতদিন কতবার এখানে বসে কেঁদেছি।”

    ‘অভিমান’ কামাল হোসেন টিপু’র নবম গ্রন্থ। উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে ‘অন্বেষা প্রকাশন’। বইটি পাওয়া যাবে অন্বেষা প্রকাশনের ‘১২নং প্যাভিলিয়নে’।

    বইটির লেখক কামাল হোসেন টিপু ১৯৮৩ সালের ১৫ জুলাই লক্ষীপুর সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএসএস করে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জার্নালের মফস্বল ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। ২০২২ সালে তার লেখা “বেঁচে থাকা” উপন্যাসের জন্য ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের লেখক সম্মাননায় ভূষিত হন।

  • শ্রীনগর সরকারি কলেজে বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব

    শ্রীনগর সরকারি কলেজে বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব

    শ্রীনগর সরকারি কলেজে বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব পালন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. মাহবুব সরফরাজ।

    কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ জিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ নাসির হোসেন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম মন্ডল, পিইউ ও বিএনসিসি’র জাকারিয়া কাইয়ুম, শ্রীনগর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম লিমন প্রমুখ।

    ফাগুনের প্রথম সকালে কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের আগমনে ক্যাম্পাস চত্বর প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। দিনব্যাপী বসন্তবরণে উৎসবমূখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

  • শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ভাব তৈরি করার আহ্বান ইউএনও’র

    শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ভাব তৈরি করার আহ্বান ইউএনও’র

    শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ভাব তৈরি করতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান শামীম।

    বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৭নং কান্দা খানেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ। এবার স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ। আজকে যারা শিক্ষার্থী রয়েছো, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক হবে আজকের শিক্ষার্থীরা। তাই শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ভাব তৈরি করতে শিক্ষকদের প্রতি আমার আহ্বান।

    অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন, নবাবগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম শেখ। এসময় তিনি বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে হবে। যারা খেলাধুলা করে তারা সমাজ উন্নয়নে ভুমিকা রাখে। তাদের দ্বারা সমাজে অপরাধ কম হয়, তাই খেলাধুলায় মগ্ন থাকতে হবে।

    বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কাশেম আলীর সভাপতিত্বে ও নাজমুল হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, নয়নশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পলাশ চৌধুরি, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক আইনুদ্দিন, খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন, ইউপি সদস্য হাসমত আলী বেপারী, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শক্তি খন্দকার, সমাজ সেবক আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, আফসার উদ্দিন, সোহরাব হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।

  • বিক্রমপুর কুঞ্জবিহারী সরকারী কলেজে নবীন বরণ

    বিক্রমপুর কুঞ্জবিহারী সরকারী কলেজে নবীন বরণ

    সিরাজদিখান বিক্রমপুর কুঞ্জবিহারী সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের গোলাপ ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।

    কলেজ অধ্যক্ষ হেলেনা বেগম সভায় সভাপতিত্ব করেন। বাংলা বিষয়ের প্রভাষক এজাজ হোসেন খান ও আইসিটি প্রভাষক কালী দাস রায় (সুমন্ত) অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

    অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সজল কুমার দত্ত, সহকারী অধ্যাপক খ.ম.আ. রব, সহকারী অধ্যাপক আফসার আলী, সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুপদ মন্ডল, সাবেক ছাত্র ও সিরাজদিখান উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সুব্রত দাস রনক, দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস, একাদশ শ্রেনির শিক্ষার্থী শেখ সামিন, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম চৌধুরী প্রমুখ।

    বক্তারা তাদের বক্তব্যে, শিক্ষা জীবনে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন। সকলকে নৈতিক, মানবিক মানুষ হওয়ার আহ্বান জানান। তারা, শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়ী হওয়ার জন্য উপদেশ দেন।

    পরে সাংস্কৃাতক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

  • সাংস্কৃতিক চর্চা জীবনের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে; লিয়াকত আলী লাকী

    সাংস্কৃতিক চর্চা জীবনের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে; লিয়াকত আলী লাকী

    বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (একুশে পদকপ্রাপ্ত) লিয়াকত আলী লাকী বলেছেন, সাংস্কৃতিক চর্চা জীবনে উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে। প্রত্যেককে তার জীবন পরিধি ব্যাপ্তি ঘটায়। এ অঞ্চলের সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে এটাই উদ্বোধন, এটাই শুরু। এখান থেকে সংস্কৃতির বিকাশ বিচ্ছুরণ ঘটবে সারাদেশে।
    বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় নবাবগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি মুক্ত মঞ্চে নবাবগঞ্জ সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
    লিয়াকত আলী লাকী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে বাস্তবায়নের জন্য শিল্পকলা একাডেমি কাজ করছে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে। এতে করে সাংস্কৃতি চর্চা বৃদ্ধি পাবে। টিকে থাকবে নিজস্ব আঞ্চলিক সংস্কৃতি।
    বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পৃষ্ঠপোষকতায় ও নবাবগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ১৮-২০ জানুয়ারি প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে এ উৎসব পালন করা হবে। এর দুই দিন বিভিন্ন ধরণের নাচ ও গান। শেষ দিন পরিবেশিত হবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ‘যাত্রা পালা’।
    উদ্বোধনী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান।
    উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ মানবেন্দ্র দত্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান আওলাদ হোসেন।
    উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ,  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফয়েজ আল মাসুদ টুটুল, ঢাকা জেলা দক্ষিণ তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান পলাশ প্রমুখ।
    পরে নবাবগঞ্জ শিল্পকলা ও কেন্দ্রীয় শিল্পকলার শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
  • শিক্ষার সাথে সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

    শিক্ষার সাথে সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

    শিক্ষার সাথে সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

    বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোলাইডাঙ্গা তাসলিমা জালাল মঞ্চবাড়ি সুফিয়াফুল মঞ্চে ৫ দিনব্যাপী দ্বারোদঘাটন উৎসব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

    ডা. দীপু মনি বলেন, শিল্প সাহিত্যে আমরা অনেক সমৃদ্ধ। শিক্ষার সাথেও সংস্কৃতি নিবিড়ভাবে জড়িত। আবার মাদক নিয়ন্ত্রণে যাই বলি না কেন, সংস্কৃতি ও সাহিত্য চর্চা না করলে কোনো লাভ হবে না। তাই আমাদের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

    মন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার সাড়ে ৩ বছরের মাথায় আবারো দেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের কাছে অস্ত্রের জোর নেই, আছে শান্তি। আমাদের নেত্রী সর্বত্র শান্তির কথা বলছেন। তাই বিশ্বের কাছে মানবতার নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

    তিনি আরো বলেন, আমরা এখন অর্থনৈতিক ভাবে অনেকটাই সমৃদ্ধ। তাই শিক্ষা উন্নয়নের সাথে সাথে সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

    দ্বারোদঘাটন উৎসবের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন ইউসুফের সভাপতিত্বে, এসএম মাসুদ সাঈদ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

    অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, মঞ্চকুসুম শিমুল ইউসুফ, দ্বারোদঘাটন উৎসবের সদস্য সচিব আনান জামান। এ সময় জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তা সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, পরে সূচনা সংগীত পরিবেশন করেন মঞ্চকুসুম শিমুল ইউসুফ।

    সারাদেশে এক’শ উন্মুক্ত নাট্য মঞ্চের প্রথমটি উদ্বোধন করা হয় বলে আয়োজকরা জানান। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ উৎসব। মঞ্চে নাটক, যাত্রাপালা, জারি , বিচ্ছেদ ও বৈঠকীগান পরিবেশন করা হবে।

  • মহব্বতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

    মহব্বতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

    ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার মহব্বতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তণ দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় সভা কক্ষে এ অনুষ্ঠান করা হয়। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার মন্ডল সভায় সভাপতিত্ব করেন।

    শিক্ষক মো. হানিফ মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের  প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম মোল্লা, শিক্ষক অরুণ কুমার সাহা, শিক্ষক শ্যামলী রোজারিওসহ শিক্ষকবৃন্দ।

    পরে অতিথি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশগ্রহন করেন।

  • নবাবগঞ্জে শিক্ষার উন্নয়নে অভিভাবকের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা 

    নবাবগঞ্জে শিক্ষার উন্নয়নে অভিভাবকের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা 

    ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষার উন্নয়নে অভিভাবকের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের শোলানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    ভিশন ইম্পেরিয়াম, রিগ্যাল ইম্পেরিয়াম, বেস্টবাই, ওয়াকার ফুটওয়্যার, রেইনবো, বিজলী ও টেস্টিট্রিট এর আয়োজন করেন।
    আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শোল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কিসমত। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জেসমিন আহমেদ।
    বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লিয়াকত হোসাইন, ভিশন ইম্পেরিয়ামের উপজেলা ব্যবস্থাপক শুভাশিস গোস্বামী।
    উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুস সাত্তার ফকির, প্রধান শিক্ষক নূরজাহান আক্তার, সমাজকর্মী ফয়েজ হোসেন, সাংবাদিক ফিরোজ হোসেন, ইউপি সদস্য আয়নুল হক, পরান ফকির, শেখ শাহীন প্রমুখ।
    এর আগে বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীদের কবিতা আবৃত্তি,  চিত্রাংঙ্কন প্রতিযোগিতা,  কুইজ প্রতিযোগিতা ও অভিভাবকদের তীর নিক্ষেপ খেলার আয়োজন করা হয়।
    এছাড়াও এ মাসে যাদের জন্ম তারিখ তাদের জন্মদিন পালনে কেক কাটা হয়। পরে সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
    সেই সাথে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বেগবান করতে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর সহায়তার আহ্বান জানান অতিথিবৃন্দ।